বাবুগঞ্জে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
অনেক প্রকল্প কাগজে-কলমে থাকলেও বাস্তবে নেই- বরিশাল ব্যুরো ও উজিরপুর সংবাদদাতা
- ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
বরিশালের বাবুগঞ্জ গ্রামীণ অবকাঠামো বাস্তবায়ন উন্নয়ন প্রকল্পে ২০২২-২০২৩ ও ২৪ অর্থবছরে উন্নয়নে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে। অনেক প্রকল্প কাগজে-কলমে থাকলেও বাস্তবে নেই।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানায়, বাবুগঞ্জ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় ইউনিয়নে টিআর,কাবিখা-কাবিটাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় কোটি কোটি টাকা ইউনিয়নে সরকারি বরাদ্দ পায়। এসব বরাদ্দ দিয়ে উপজেলার সবক’টি ইউনিয়নে রক্ষণাবেক্ষণ, সংস্কার ও নির্মাণকাজ বাস্তবায়িত হওয়ার কথা থাকলেও অনেক অনেক জায়গায় উন্নয়ন হয়নি। সরকারি বরাদ্দ দিয়ে ইউনিয়নে উন্নয়নের কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে-তা নিয়ে জনমনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখার তত্ত্বাবধানে এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ব্যবস্থাপনায়। কাজ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য ও প্রকল্প চেয়ারম্যানের মাধ্যমে। এসব স্তর বিশেষে প্রকল্পের টাকা ভাগাভাগিতে ২০ ভাগ কাজও হয়নি। সিংহভাগ টাকা গেছে সংশ্লিষ্টদের পকেটে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইউপি সদস্য ও সিপিসি বলেন, সব অনিয়ম হয় উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা ও কর্মচারির মাধ্যমে। অফিসের কর্মকর্তা টাকা পেলে সব অনিয়মকে নিয়মে পরিনত করে। অফিস কর্মকর্তাদের কাজের ২৫-৩০ ভাগ টাকা দিতে হয়।
সরেজমিন গত রোববার রহমতপুর ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, রহমতপুর কৃষি গবেষণার পশ্চিম দক্ষিণ কোনা থেকে নুর মোহাম্মদ হাওলাদারের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ ও রহমতপুর কৃষি গবেষণার পশ্চিম পাশ থেকে কৃষি কলেজগামী রাস্তার বাকি অংশের কাজে ছয় লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও কাজের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
এ কাজের সিপিসি নাইম রেজার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে ২৫ ভাগ টাকা দিলে কী কাজ করব? টাকা কে নেয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখেন টাকা সবাই নেয়।
এ ছাড়া মাধবপাশা ইউনিয়নের বাদলা সাত্তার মেম্বারের বাড়ির পাশ দিয়ে কাটাখালী ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা মাটি দ্বারা উন্নয়নের বরাদ্দ ৬ লাখ টাকা কাগজে-কলমে হলেও কোনো কাজই করা হয়নি। এ কাজের সিপিসি মো:জয়নাল আবেদীন অভিযোগ করে বলেন, কাজ প্রতি ২৫-৩০ ভাগ টাকা দিতে হয়।
অভিযোগের ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: নাসির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আহমেদ বলেন, আমি নতুন এসেছি প্রকল্পের বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বরিশাল জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, প্রকল্পের কাজে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন উপজেলাবাসী।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা