সোনারগাঁওয়ে ফুলকপি চাষে সফল আসাদুল্লাহ
- হাসান মাহমুদ রিপন সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ)
- ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে কৃষি কাজ করে স্বাবলম্বী মো: আসাদুল্লাহ (৭০)। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে কৃষিকাজে যুক্ত রয়েছেন। প্রতি বছর বিভিন্ন মৌসুমি শাকসবজি চাষ করেন। এবারো শীত মৌসুমে নিজের তিনটি প্লটে ফুলকপি চাষ করেছেন। প্রতিদিন ফুলকপি ক্ষেতে যত্ন নিচ্ছেন অতিরিক্ত লাভের আশায়।
চাষি আসাদুল্লাহ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হামছাদী এলাকার বাসিন্দা। কৃষি কাজ করেই তিনি আজ স্বাবলম্বী। এখনো পরিবারের হাল ধরে আছেন এ বৃদ্ধ বয়সে। নিজের তিনটি ক্ষেতে এবার তিন হাজার ফুলকপি চাষ করেছেন। যা আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে ক্ষেত থেকে কপি উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি করতে পারবেন।
কৃষক মো: আসাদুল্লাহ জানান, ৩ হাজার পিস চারার প্রত্যেকটিতে ১০-১২ টাকা করে ব্যয় হয়েছে। চারা রোপণসহ বিভিন্নভাবে ৪০ হাজার টাকা খরচ করেছেন। রোপণের দেড় মাস পরই উত্তোলন করা হয় এ সবজি। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে ফুলকপি তুলতে পারবেন।
তিনি বলেন, প্রায় ৭০-৭৫ হাজার টাকায় তার রোপণ করা সবজি বিক্রি করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি। বিগত দিনেও তিনি প্রায় ৪০ শতাংশ লাভ করে আসছিলেন। এ বছর ফুলকপি ক্ষেতে জৈব, টিএসপি আর গোবর সার দিয়েছি। তিন দিন পরপর ফুলকপি চারায় পানি দেন। এ সবজি মূলত আশ্বিন মাসের প্রথম দিকে রোপণ করা হয়।
তার সহযোগী শাহজাহান বলেন, প্রতি বছরই ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার চারার মধ্যে প্রায় ৩০০ চারা বাদ যায়। এবার ক্ষেতে বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন পর্যন্ত তেমন কোনো চারা বাদ যায়নি।
সোনারগাঁও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরোজা সুলতানা জানান, সোনারগাঁওয়ে ৯ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে কৃষকেরা চাষাবাদ করছেন। আমরা নিয়মিত তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছি। আমরা শুধু ফুলকপি চাষির সুবিধা দেয়ার কথা ভাবি না। সব কৃষিপণ্য চাষিদের সেবা দিতে হয়। তবে রোগবালাইমুক্ত চাষাবাদের পাশাপাশি ভালো ফলন পাওয়ার বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা