২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ফেনী যুবদলের কমিটিতে পদ পেতে জোর লবিং

ত্যাগ ও যোগ্যতার মূল্যায়ন দাবি নেতাকর্মীদের
-


দীর্ঘদিন পর ফেনী জেলা যুবদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। বিএনপির ভ্যানগার্ড-খ্যাত গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বে আসতে জোর লবিং-তদবির চলছে। খুব শিগগিরই কমিটি ঘোষণা হতে পারে এমন খবরে পদপ্রত্যাশী নেতারা ঢাকায় অবস্থানরত বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন।
২০১৮ সালের ১৩ জুন জাকির হোসেন জসিমকে সভাপতি, নাছির উদ্দিন খন্দকারকে সাধারণ সম্পাদক ও নঈম উল্যাহ চৌধুরী বরাতকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে যুবদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর তিন মাসের মাথায় ২০১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। তিন বছর মেয়াদি এ কমিটি ইতিমধ্যে ৬ বছর পার হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে সভাপতি পদে সর্বাগ্রে আলোচনায় রয়েছেন বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন খন্দকার। ছাত্রদলের রাজনীতিতে জেলা কমিটির সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক থেকে যুবদলের শীর্ষ পদ পেয়ে সবাইকে চমকে দেন। গাজী হাবিব উল্যাহ মানিক ও আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী নেতৃত্বাধীন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন নাছির।
পরবর্তীতে গাজী মানিক ও আনোয়ার জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বে এলে যুবদলের ঝান্ডা ওঠে নাছিরের হাতে। তার সাথে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি কফিল উদ্দিন মামুন, বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি বেলাল হোসেন ওরফে ভিপি বেলাল ও সদর উপজেলা যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম।
সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছেন যুবদলের বর্তমান সুপারফাইভের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক নঈম উল্যাহ চৌধুরী বরাত। ছাত্রদলের তৃণমূল থেকে উঠে এসে জেলার শীর্ষ পদে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। চল্লিশের অধিক মামলার আসামি হয়ে ফেরারী থেকেও মিছিল-মিটিংয়ে সক্রিয় দেখা যেতো তাকে।

এ পদে জেলা যুবদল যুগ্ম সম্পাদক দাউদুল ইসলাম মিনারও প্রার্থী হয়েছেন। এর আগে তিনি সোনাগাজী উপজেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক থেকে জেলা যুবদলের সহসম্পাদক পদ পেয়ে জেলার রাজনীতিতে আলোচনায় আসেন। সোনাগাজীর মঙ্গলকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাহউদ্দিন মামুনও সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। ফেনী সরকারি কলেজের যুগ্ম আহ্বায়ক থাকাকালে জেলা ছাত্রদলের আমান উদ্দিন কায়সার সাব্বির ও নঈম উল্যাহ চৌধুরী বরাত নেতৃত্বাধীন কমিটির প্রচার সম্পাদক পদ পান। পরবর্তীতে মামুন ধারাবাহিকভাবে সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালনের পর বর্তমানে সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।
এ ছাড়া জেলা যুবদলের সদস্য ও সদর উপজেলার সাবেক আহ্বায়ক আতিকুর রহমান মামুনও সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে আগ্রহী বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জানান, বিগত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের চোখ রাঙানো উপেক্ষা করে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে যারা পরীক্ষা দিয়েছেন এমন পরিচ্ছন্নদের হাতে যেন নেতৃত্ব দেয়া হয়। তাহলে একদিকে যেমন যোগ্যতার মূল্যায়ন হবে অন্যদিকে তৃণমূল নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement