নাঙ্গলকোটে শখের পাখি বিক্রি করে স্বাবলম্বী সবুজ
- সাইফুল ইসলাম নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা)
- ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৯
গ্রামীণ পর্যায়ে পাখির দোকান করে স্বাবলম্বী হয়েছেন কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের সবুজ। নাঙ্গলকোট-মাহিনী সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে কনকৈইজ মধ্যপাড়া পার হলেই চোখে পড়বে রুপিয়া-২ পাখি বিক্রয়কেন্দ্রে পাখির কিচির-মিচির শব্দ। সড়কের পাশে খাঁচায় বন্দী রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। দুপুরের পর থেকে এখানে পাখির ক্রেতারা পাখি ক্রয় করতে আসেন। সবুজ প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার টাকার পাখি বিক্রি করেন।
মধ্য বয়সী সবুজ জানান, ১৪ বছর আগে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত থেকে দেশে আসার পর তার মা রুপিয়া খাতুনের কাছ থেকে ৪০০ টাকা পুঁজি নিয়ে দুই জোড়া কবুতর পালন শুরু করেন। মায়ের দোয়ায় বর্তমানে তার পাখির খামারে দেড় লাখ টাকারও বেশি বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আছে। গত ১৪ বছরে তার প্রায় ১২ লাখ টাকা আয় হয়েছে বলে জানান সবুজ। তার কবুতর খামারে কবুতরের পাশাপাশি দেশী মুরগী, টাইগার মুরগী, ফাউমী, বাহমা, টার্কি, তিঁতি, সিলকা, কাতারনেক ও হরিণ মুরগীর বাচ্চা রয়েছে। টাইগার মুরগীর বাচ্চা প্রতি জোড়া ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা, বাহমা মুরগী প্রতি জোড়া ১৫০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকা, কাতারনেক প্রতি জোড়া ৮০০ টাকা, ফাউমী প্রতিজোড়া ১৬০০ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা, টার্কি প্রতি জোড়া ৭০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা, সিলকা প্রতি জোড়া দুই হাজার টাকা থেকে দুই হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করতে পারেন তিনি।
পাখির মধ্যে রয়েছে, অস্ট্রিলিয়ান ঘুঘু, লাব্বাক, কোকোডেল পাখি, বাজিগর, পিজ ও কোয়েল পাখি। অস্ট্রিলিয়ান ঘুঘু প্রতি জোড়া ৮০০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, লাব্বাক প্রতি জোড়া আড়াই হাজার টাকা থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা, কোকোডাল প্রতিজোড়া আড়াই হাজার টাকা থেকে ছয় হাজার টাকা, বাজিগর প্রতিজোড়া ৬০০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করেন। কোয়েল পাখি প্রতি জোড়া ৬০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেন সবুজ।
কবুতরের মধ্যে ময়ুরপঙ্খী, লাল সিরাজ, সাদা-কালো সিরাজ, কিং, বাংলা সিরাজ রয়েছে। তার দোকানে কবুতরের জোড়া ৬০০ টাকা থেকে ছয় হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এ ছাড়া পাখির খাদ্য, ডিমের পাতিল, পানির পাতিল এবং পাখির খাঁচাও বিক্রি করেন তিনি। পাখির খাদ্যবাবদ প্রতিদিন প্রায় ৪০০ টাকা ব্যয় হয় সবুজের। এ ছাড়া দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎবিল দিতেও কিছু খরচ হয় তার। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতিমাসে তার প্রায় ১৫ হাজার টাকা লাভ থাকে বলে জানান সবুজ।
সবুজ জানান, কুয়েত থেকে দেশে ফিরে তিনি স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন তিনি। সখের বসে কবুতর পালন শুরু করেছিলেন। এর পর ধীরে ধীরে তার সখ ও ব্যবসা বৃদ্ধি পায়। দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারা আসেন তার কাছে। তার পাখির খামার দেখে এ ধরনের একটি খামার তৈরি করতে অনেকেই উদ্বুদ্ধ হন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা