দোয়ারাবাজারে কালভার্ট নির্মাণ নিয়ে জটিলতা
দায় নিচ্ছে না কোনো সংস্থা- সোহেল মিয়া দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ)
- ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের রগার পাড় খালের ওপর নির্মিত হচ্ছে একটি কালাভার্ট ব্রিজ। ব্রিজটি কার অধিনে নির্মিত হচ্ছে এ বিষয় রহস্যজনক কারণে কেউ কিছুই বলছেন না। অনেকে বলছেন, দায় এড়াচ্ছেন উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা থেকে প্রকল্পবাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। কাজের উদ্যোক্তা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই কাজ সম্পর্কে উপজেলা প্রকৌশলীই ভালো জানেন। উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও দায় এড়িয়ে চাপিয়ে দিচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার ওপর। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার দফতরের অধিনে নরসিংপুর ইউনিয়নে বর্তমানে কোনো কাজ চলমান নেই।
স্থানীয়রা জানান, নরসিংপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন আহমদ কালভার্ট ব্রিজটি নির্মাণ করাচ্ছেন। তবে এ সম্পর্কে কিছুই জানেন না স্থানীয় ইউপি মেম্বাররা। একাধিক ইউপি মেম্বার জানান, ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বারদের সাথে কোনো ধরণের পরামর্শ ছাড়া আগেই কাজ করান। পরে সুযোগ বুঝে প্রকল্পের অনুমোদন করিয়ে বিল উত্তোলন করে নেন। ইতোপূর্বেও তিনি এভাবে বেশ কয়েকটি কাজ করিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এদিকে, কাজটি ইউপি চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন আহমদের উদ্যোগেই বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেন কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সামছুল ইসলাম। তবে কতটাকা বাজেটে কালভার্ট ব্রিজটি নির্মিত হচ্ছে তা বলতে রাজি হননি তিনি। অন্যদিকে, চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই কাজ উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার (প্রকৌশলী) করাচ্ছেন। কাজের এ্যাস্টিমেটও ইঞ্জিনিয়ারের কাছে। আর কিছু বলতে রাজি নন তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আম্বিয়া আহমদ জানান, নরসিংপুর ইউনিয়নে তার দফতরের অধিনে বর্তমানে কোনো কাজের পরিকল্পনা কিংবা চলমান নেই। দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আব্দুল হামিদ জানান, এই কাজটি সম্পর্কে তিনিও জানেন না কিছুই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ইউপি সদস্য জানান, নরসিংপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন আহমদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ইউপি সদস্যদের অগোচরে নিজের ইচ্ছে মতো একাধিক কাজ করিয়েছেন। আগে কাজ তার পর প্রকল্পের আবেদন ও বিল উত্তোলন, এই নিয়মেই চলছে তার পরিষদ। দলীয় প্রভাবে সরকারি কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার যোগসাজশে তিনি প্রকল্পের কাজগুলো এভাবে করিয়ে বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন।
যদিও প্রকল্প অনুমোদন হওয়ার আগে কাজ করার কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেহের নিগার তনু বলেন, আগে কাজের অনুমোদন, তার পর এ্যাস্টিমেট অনুযায়ী কাজ হয়। নরসিংপুরের এই কাজটি কিভাবে হচ্ছে তিনি তথ্য নিয়ে জানাবেন। বিষয়টি জানার আগে কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি নন তিনি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা