চট্টগ্রামে শাহ্ আমানত সেতুর টোল আদায় নিয়ে দীর্ঘ যানজট
- এস এম রহমান পটিয়া-চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম)
- ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর নির্মিত অত্যাধুনিক তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু (বর্তমান নাম শাহ্ আমানত শাহ্ রহ: সেতু) পার হতে গিয়ে দীর্ঘ জানজটে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। গত ১৪ বছর ধরে সেতুর টোল আদায়ের ক্ষেত্রে ধীরগতির কারণে নিত্যদিনের যানজটের কবলে পড়ছে সাধারণ যাত্রী। বিশেষ করে প্রতি বৃহস্পতিবার এ দুর্ভোগ আরো চরম আকার ধারণ করে। এ ছাড়া ঈদ ও পূজা পার্বনের সময় এ যানজটের তীব্রতা যেন আরো বহুগুণে বেড়ে যায়।
জানা গেছে, সেতুটি উদ্বোধনের প্রায় ১৪ বছর পেড়িয়ে গেলেও চালু হয়নি ওজন পরিমাপক যন্ত্র। ফলে আধুনিক পদ্ধতিতে টোল আদায় ও ওজন পরিমাপে অতি ধীর গতিতে করতে হয়। এতে যানজটের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পায়। বিড়ম্বনায় পড়তে হয় সেতুর উভয় প্রান্তের যান ও যাত্রীদের।
সেতু রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত সড়ক ও জনপথের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাজিমুদ্দিন বলেন, বর্তমানে সেতুটি অপারেশন অ্যান্ড মেন্টেনেন্সের মধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। কম্পিউটারাইজ পদ্ধতিতে যানবাহন থেকে মাশুল আদায় করা হয়। অচিরেই ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে টোল আদায় করা হবে।
সড়ক ও জনপদ চট্টগ্রাম জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন বলেন, সেতুর নগর প্রান্তে স্থাপিত ওজন পরিমাপক যন্ত্র বা লোড এক্সেল নিয়ন্ত্রণ স্টেশনটি চালু করার পাশাপাশি যানবাহন পারাপারের টোল আদায়ের জন্য আরো একটি নতুন বুথ স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া সেতু পারাপারে টোল আদায়ে ইলেকট্রনিক পদ্ধতি চালু হলে টোল আদায় আর ধীরগতি হবে না।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও কুয়েত সরকারের যৌথ অর্থায়নে ৯৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ২৪.৪০ মিটার প্রস্থ এ সেতুটি নির্মাণ করেছিল আন্তর্জাতিক মানের সেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চায়নার মেজরব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা