২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

লালমোহনে ৭৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে এসব বিদ্যালয়। এ ছাড়া উপজেলায় ৬৮ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে
-

ভোলার লালমোহন উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ৭৬টিতে প্রধান শিক্ষক নেই। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে এসব বিদ্যালয়। এ ছাড়া উপজেলায় ৬৮ জন সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য। ফলে এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষার মান দিন দিন নিম্নমুখী হচ্ছে।
দীর্ঘ দিন ধরে প্রধান শিক্ষক না থাকায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানের পাঠদান নিয়ে শঙ্কিত। কয়েকজন অভিভাবক জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অফিসিয়াল কাজে সবসময় ব্যাস্ত থাকেন, বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসতে পারেন না। তাছাড়া একাধিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের সংখ্যাও প্রয়োজনের তুলনায় কম।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, লালমোহনের ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ২১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে (সদ্য জাতীয়করণকৃতসহ)।

তার মধ্যে ৭২টি পুরাতন সরকারি এবং ১৩০টি সদ্য জাতীয়করণকৃত। এর মধ্যে ৭৬টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। উপজেলার যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই সেগুলো হলো- বেদুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুলচরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুণ্ডের হাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কামারের হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিশ্বাসের পাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেবির চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাজিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফারজানা চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফারজানা চৌধুরী রত্না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পলোয়াখালী (কালামুল্যা ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব ধলীগৌরনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর উদয়খালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর মোল্লাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরভুতা খারাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধ্য লর্ডহার্ডিঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর পূর্ব অন্নদা প্রসাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম সৈয়দাবাদ মাওলানা সৈয়দ আহম্মদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ বেদুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় , ইলিশাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৯৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আক্তারুজ্জামান মিলন নয়া দিগন্তকে বলেন, যেসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই এবং সহকারী শিক্ষকের সংখ্যা কম, আমরা সেসব বিদ্যালয়ের তালিকা করে শিক্ষা অধিদফতরে পাঠিয়েছি। আশা করি আসন্ন নতুন নিয়োগে শিক্ষক সঙ্কট কেটে যাবে। কী কারণে ওই সব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, পিআরএল এর কারণে শিক্ষক শূন্য। এ ছাড়া ১৯টি বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা রয়েছে। মামলা জটিলতা কারণে এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement