মিরসরাইয়ে ক্ষিরা চাষে লাভবান কৃষকরা
- এম মাঈন উদ্দিন মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
- ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০৩
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে আগাম ক্ষিরা চাষে লাভবান হওয়ায় চাষের পরিধি বেড়েই চলছে। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে খিরা চাষে আগ্রহ বাড়ছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এ বছর ২২০ একর জমিতে ক্ষিরা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮০ একর জমিতে আগাম জাতের খিরা চাষ হয়েছে। উপজেলার করেরহাট, হিঙ্গুলী, ইছাখালী, দুর্গাপুর, খৈয়াছড়া, ওয়াহেদপুর ও সাহেরখালী ইউনিয়নে ক্ষিরা চাষ হয় বেশি। আর আগাম চাষে এগিয়ে রয়েছে হিঙ্গুলী ও খৈয়াছড়া ইউনিয়নের কৃষকরা।
উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের চরশরত এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, অন্যান্য শীতকালীন সবজির পাশাপাশি ক্ষিরার আবাদ করেছেন একাধিক কৃষক। ক্ষেতে পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন ওই গ্রামের কৃষকেরা।
চরশরত এলাকার কৃষক নিজাম উদ্দিনের ছেলে আবু নোমান বলেন, এবার প্রায় এক একর জমিতে খিরা চাষে পাঁচ লাখ টাকা খরচ করেছি। ইতোমধ্যে তিন লাখ টাকার ক্ষিরা বিক্রি হয়েছে। আশা করছি আরো চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষিরা বিক্রি করতে পারবো।
খৈয়াছড়া এলাকার কৃষক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘গত সাত-আট বছর ধরে অনেকেই ক্ষিরা আবাদ করছেন। এ পর্যন্ত ১৮ হাজার টাকার ক্ষিরা বিক্রি করেছি। আরো প্রায় দেড় মাস বিক্রি করা যাবে।’
এখানকার উৎপাদিত ক্ষিরা ফেনী, সীতাকুণ্ড, বারইয়ারহাট, ছাগলনাইয়া, চট্টগ্রাম শহরে পাইকারি ব্যবসায়ীরা এসে নিয়ে যায়। উপজেলার বড়াদারোগাহাট, মিঠাছড়া, বড়তাকিয়া, মিরসরাই সদর, বারইয়ারহাট, করেরহাট বাজারে ক্ষিরা পাইকারি বিক্রি করা হয়।
খৈয়াছড়া ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: শাহজাহান বলেন, খৈয়াছড়া ইউনিয়নের কৃষকেরা গত ১০-১২ বছর ধরে আগাম ক্ষিরা চাষ করে লাভজনক হওয়ায় দিন দিন চাষের পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে। মিরসরাই উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘মিরসরাই উপজেলার মাটি ক্ষিরা চাষের জন্য উপযোগী। আগাম উৎপাদিত ক্ষিরার ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে। কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা করে থাকি। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখানকার ক্ষিরা দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা