দাকোপে আগাম সবজিতে লাভের আশায় কৃষক
- মেহেদী হাসান দাকোপ (খুলনা)
- ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
প্রকৃতিতে শীতের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। সকালে ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দু সূর্যের আলোতে চিক চিক করছে। উত্তরের হিমেল হাওয়া শীতল পরশ বুলিয়ে যায় রাতে। আর এসব জানান দেয় শীতের আগমন। এর মধ্যেই শীতের আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা। অনেক কৃষকের ক্ষেতের চারা বড় হয়ে গেছে। শীত নামার আগেই এসব সবজি বাজারে আসবে, বলছেন কৃষকেরা।
খুলনার দাকোপ উপজেলায় চলতি মৌসুমে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন চোখে নিয়ে ভোর থেকে মাঠে কাজ করছেন পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও। জলাবদ্ধতা কাটিয়ে নতুন করে ক্ষেত প্রস্তুত করছেন কেউ আবার কেউ কেউ আগাম সবজি বাজারে বিক্রি করছেন চড়া দামে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শীতকালীন আগাম সবজি টমেটো, শিম, ফুল কপি, খিরাই, ঢেঁড়স, পালংশাক ও বিভিন্ন সবজিসহ নতুন আলু চাষে ব্যস্ততার মধ্যে দিন পার করছেন কৃষকেরা। পালখালী এলাকার কৃষক তাপস সরকার জানান, ভারী বৃষ্টির কারণে জমিতে পানি জমে থাকায় ক্ষেত প্রস্তুতিতে দেরি হয়েছে। আমার ৭৫ শতক জমির মধ্যে ৫০ শতকে ফুলকপির চারা রোপণ করেছি। বাকি ২৫ শতক জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করব।
লাউডোবের কৃষক সুনিল বলেন যুগ যুগ ধরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আগাম সবজি চাষে বেশ আলোড়ন তুলছেন। ক্ষেত থেকে সবজি নিয়ে কৃষকেরা পাশের বাজুয়ার হাটে গেলেই পাইকারি ক্রেতারা তাদের কাছ থেকে কিনে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে যান। এখানে মিষ্টি কুমড়া ৩৫-৪০ টাকা, লাউ ২৫-৩০ টাকা ধরে পাইকারি বিক্রি করেন কৃষকরা। কৈলাশগঞ্জ গ্রামের কৃষক আব্বাস উদ্দিন (৫০) জানান, প্রতি বছর ৩ থেকে ৪ বিঘা জমিতে সবজি চাষ করি। ক্ষেত থেকে মাসে ৬ বার মিষ্টি কুমড়া তোলা হয়, প্রতিবার ৪ থেকে ৫ মণ পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ১২ মাসি সবজিতে বেশি মুনাফা পাওয়া যায়। এখানকার সবজি কীটনাশকমুক্ত। উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, এবার দাকোপ উপজেলায় প্রণোদনা হিসেবে ১০০ জন প্রান্তিক কৃষককে বিনামূল্যে সবজি বীজ ও নগদ ১০০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। কৃষকেরা এখন ফেরোমন ফাঁদসহ জৈবসার ব্যবহার করে কীটনাশকমুক্ত সবজি চাষ করছেন। আশা করি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার দাকোপ উপজেলা শীতকালীন সবজি চাষ করে ভালো লাভবান হবে এ জনপদের কৃষকেরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা