সাটুরিয়ায় ফুলকপির ক্ষেতে পাতাখেকো শামুক
- মো: হুমায়ূন কবীর সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ)
- ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় চার দিকে কুয়াশায় জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। রাত তখন ৯টা বেজে ৩০ মিনিট। অদূরে তাকাতেই চোখ পড়ে ইলেকট্রিক টর্স লাইটের আলো ফসলের জমিতে। এগিয়ে গিয়ে দেখা যায় কেউ লাঠি, কেউ পঁাঁচন দিয়ে পাতাখেকো ছোট-বড় শামুক নিধনের কাজ করছে। ফসলি জমিতে ফুলকপির চারা থাকলেও কপালে তাদের চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। হতাশার মধ্যে ভোর এবং সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শামুক নিধনে প্রতিদিন পাহারা দিচ্ছে উপজেলার দিঘলীয়া, বরাইদ, দড়গ্রাম ইউনিয়নসহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষক।
সরেজমিন গত সোমবার গিয়ে দেখা যায়, ব্যাপক হারে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে শামুক। ফলে চলতি মৌসুমে ফুলকপির চারার উপর বসে শামুক তার নরম লম্বা মুখ দিয়ে পাতা মুড়িয়ে গিলে খাচ্ছে। শামুকের আক্রমণ থেকে রেহাই পাচ্ছে না বেগুনের চারাসহ বাসাবাড়ির লাউ এবং শিমগাছসহ অন্যান্য সবজিগাছও। রাত হলেই বিভিন্ন গর্ত বা ছায়াযুক্ত ঝোপ থেকে বের হয়েই গাছের নরম অংশ বা কচি পাতা খেতে ধীরে ধীরে এসে তাণ্ডব চাালায় শাখা-প্রশাখায়। এসব শামুক নিধনে কৃষি অফিসের কোনো পরামর্শ না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষক।
পাতিলাপাড়ার কৃষক জয়নাল রাতে শামুক নিধনকালে জানান, তিনি এবার ১০৫ শতাংশ জমিতে ১৪ হাজার কপির চারা রোপণ করেছেন। গত কয়েক দিনেই তার পাঁচ শতাধিক চারা শামুকে খেয়ে নষ্ট করায় চার টাকা প্রতি চারা মূল্য দিয়ে আবার রোপণ করতে হয়েছে। এতে তার লাভের মুখ দেখার আগেই অতিরিক্ত খরচে লোকসান গুনতে হচ্ছে। তার অভিযোগ, এ দিকে কোনো কৃষি কর্মকর্তা না আসায় শামুক নিধনে বা ফসলি চারা যাতে ক্ষতি করতে না পারে তার কোনো পরামর্শ পাওয়া যায়নি।
শামুক নিধন এবং ফসলের ক্ষতির সংবাদ সংগ্রহকালে এগিয়ে আসেন সাভার এলাকার আরেক কৃষক সুমন। তিনি জানান, দুই বিঘা জমিতে ফুলকপির চাষ করা হয়েছে। প্রতিদিন ভোর এবং রাতে ১৫-১৬ দিন ধরে শামুক নিধন করলেও দুই শতাধিক চারা শামুকে খেয়ে ফেলেছে। নাইলনের জাল দিয়ে বেড়া দিয়েও শেষ রক্ষা হচ্ছে না। দ্রুত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এবং পরামর্শ না দিলে সামনে ভুট্টার মৌসুমেও কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির শিকার হবে।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ওই শামুকের আক্রমণ থেকে ফসলের চারা রক্ষা করার জন্য সরেজমিন গিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও পরামর্শ দেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা