তিন মাস পর আমিরের লাশ উত্তোলন
- আমতলী (বরগুনা) সংবাদদাতা
- ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৮
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ১৯ জুলাই জুমার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে ফেরার পথে অটোরিকশা চালক আমির তালুকদার পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ ঘটনায় আমিরের স্ত্রী আন্নি আক্তার বাদি হয়ে ৪ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ২৪ জনের নামে রামপুরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার তিন মাস ১৪ দিন পর ময়নাতদন্তের জন্য গত রোববার কবর থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়।
জানা গেছে, তালতলী উপজেলার মৌপাড়া গ্রামের মৃত্যু আলতাফ তালুকদারের ছেলে আমির ছোট বেলায় কাজের সন্ধানে ঢাকায় যান। ২০১৬ সালে মুন্সীগঞ্জের মেয়ে আন্নি আক্তারকে বিয়ে করেন আমির। ঢাকার রামপুরা টিভি সেন্টারের পাশে একটি ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন। তার আরমান (৬), আরিয়ান (৪) ও আমেনা (১) নামে তিনটি সন্তান রয়েছে।
গত ১৯ জুলাই রামপুরা মোল্লা টাওয়ার সংলগ্ন মসজিদে জুমার নামাজ আদায় শেষে বাসায় ফেরার সময় ছাত্র-পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া সময় পুলিশের তিনটি গুলি আমিরের শরীরে বিদ্ধ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
ঘটনার তিন মাস ১৪ দিন পর বরগুনা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পিবিআই পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য গত রোববার কবর থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই পুলিশের এসআই মাসুদ রানা।
আমিরের স্ত্রী আন্নি আক্তার বলেন, ম্যাজিস্টেটের উপস্থিতি আমার স্বামীর লাশ তদন্তের জন্য উত্তোলন করে পুলিশ নিয়ে গেছে। আমি আমার স্বামী হত্যার ন্যায় বিচার দাবি করছি।
বরগুনা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্টেট তরিকুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে নিহত আমির তালুকদারের লাশের সুরাতহাল করতে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা