০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৬
`
বাড়ছে মশার উৎপাত

সিলেটে ৮ মাস ধরে বন্ধ মশকনিধন কার্যক্রম

সিলেটে ৮ মাস ধরে বন্ধ মশকনিধন কার্যক্রম -


নগরজুড়ে বছরে অন্তত চার বার তিন মাস পর পর চালানো হয় মশকনিধন কার্যক্রম। কিন্তু প্রয়োজনীয় অর্থ ও জনবল সঙ্কটে এবার টানা আট মাস ধরে কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শীতের মওসুম আসার আগেই সিলেট নগরীতে বাড়ছে মশার উৎপাত। বাসা-বাড়ি থেকে শুরু করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অফিস আদালতে বাড়ছে মশার উপদ্রব। বিকেল হলেই নগরীর ড্রেন, নালা। অসংখ্য মশা দেখা যায়। এসব নিয়মিত পরিষ্কার না করা ও মশানিধনের ওষুধ না ছিটানোকে দায়ী করছেন নগরীর বাসিন্দারা। তারা বলছেন, নগরীতে মেয়র ও কাউন্সিলর না থাকা ও কার্যক্রম নিয়মিত তদারকি না করার ফলে মশকনিধনে কর্মীরা কাজ করছেন না, এতে মশার উপদ্রব বেড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিলেট সিটি করপোরেশন ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত হলেও বর্তমানে সিটির ওয়ার্ড হয়েছে ৪২টি। সেজন্য মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। এদিকে মশকনিধন কার্যক্রমের জন্য ১৫ দিন পরপর ফগার মেশিনে ওষুধ স্প্রে করার কথা রয়েছে, এজন্য সব মিলিয়ে তাদের ১২০ জন কর্মী প্রয়োজন হয়। সেসব কর্মীদের দিন প্রতি ৫০০ টাকা করে মজুরি দেয়া হয়। তবে যাদের দিয়ে কাজ করানো হয় তারা সবাই অস্থায়ীভাবে কাজ করেন, সেজন্য তারা পরের বার আর কাজ করতে চান না। এ নিয়ে সিসিক কর্তৃপক্ষ বলছে তারা যেহেতু দৈনিক মজুরিতে কাজ করে থাকেন সেক্ষেত্রে অনেক কর্মী কাজে ফাঁকি দেন।

এদিকে আগে মশকনিধন কার্যক্রমের কর্মীদের কিছু ওয়ার্ডে নগর ভবনের দায়িত্বশীলরা ও দূরবর্তী কিছু ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করানো হতো। তবে গত মার্চের পর থেকে নগরীতে মশকনিধন কার্যক্রমে ভাটা পড়তে শুরু করে। ৫ আগস্ট পরর্বর্তী প্রেক্ষাপটে মেয়র-কাউন্সিলর শুণ্য নগরীতে পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে মশক নিধন কার্যক্রম। আর এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন জনসাধারণ। মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন তারা।
সিসিক কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা বছরে চারটি ধাপে পুরো নগরীতে মশকনিধন কার্যক্রম চালিয়ে থাকে। কিন্তু নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের পর্যাপ্ত জনবল নেই। এরই মধ্যে বেড়েছে আরো ১৫টি ওয়ার্ড। ফলে মশকনিধনে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় নিয়মমাফিক কীটনাশক প্রয়োগ না করায় মশা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। চার থেকে ছয়বার ¯েপ্র করতে পারলে দীর্ঘমেয়াদী ফল পাওয়া যাবে। স্প্রে করার পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে ফগিং করতে হচ্ছে। ফলে অভিযানের সুফল মিলছে না।
নগরীর দক্ষিণ সুরমা এলাকার বাসিন্দা ফয়সল খান বলেন, ধীরে ধীরে গরম কমছে শীতের ভাব আসছে। সন্ধ্যা হলেই মশার যন্ত্রণায় ঘরে-বাইরে থাকা যায় না। সিসিকের অবহেলায় এ অবস্থা হয়েছে।

মদীনা মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম বলেন, নিয়মিত কয়েল জ্বালালেও মশা যায় না। তাছাড়া কয়েল জ্বালানোর কারণে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যাও হয়। নগর কর্তৃপক্ষ যদি নিয়মিত ফগার মেশিন দিয়ে ওষুধ স্প্রে করে তাহলে মশার প্রকোপ কিছুটা কমতো।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: জাহিদুল ইসলাম বলেন, চলতি বছরের শুরু থেকে অর্থ ও জনবলের সঙ্কট থাকায় মশকনিধন কার্যক্রম যেভাবে পরিচালনা করার কথা রয়েছে সেভাবে হচ্ছে না। এরই মধ্যে মার্চ থেকে মশকনিধন কার্যক্রম প্রায় পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। আমি সিলেট সিটি করপোরেশন পরিষদের কাছে প্রয়োজনীয় জনবল ও মশার ওষুধের চাহিদাপত্র চেয়ে আবেদন করেছি। আগামী সপ্তাহে ওষুধের ব্যবস্থা হলেও জনবল সঙ্কটের সমাধানের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এরপরও আমরা সাধ্যমত জনবল নিয়ে কার্যক্রম শুরু করবো।
তিনি বলেন, গত আট মাসে পুরো নগরীতে কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন এলাকায় এডিসের লার্ভা খুঁজতে গিয়ে মশার ওষুধ ছিঁটানো হয়েছে। এ ছাড়া এই সময়ে ঈদ পুজাসহ বিভিন্ন উৎসবে কিছু নির্ধারিত এলাকায় মশকনিধন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত নগরীর প্রায় সাত থেকে ১০ শতাংশ বাসা-বাড়ি ও দোকানে এডিসের লার্ভার সন্ধান মিলেছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
পশুর নদে গ্যাস ও কয়লাবাহী জাহাজের সংঘর্ষ, নিখোঁজ ১ চুয়াডাঙ্গা প্রকাশ্যে বিএনপি নেতাকে কোপালেন যুবলীগ কর্মী ‘আওয়ামী লীগের আমলে প্রতিবছর ১৫ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে’ গাজার জাবালিয়ায় হামাসের হামলায় ১৫ ইসরাইলি সেনা হতাহত ইসরাইলের ৫ এলাকায় হিজবুল্লাহর একযোগে হামলা শেষ মুহূর্তে জনমত সমীক্ষায় ট্রাম্পকে পেছনে ফেললেন কমলা! সোনার ছেলে বড় হয়েও যেন সোনার ছেলেই থাকে : সেলিম উদ্দিন সাফজয়ী ক্রিকেটারদের যা বললেন প্রধান উপদেষ্টা রাজস্ব আদায় বাড়ানোর উপায় খুঁজছে বাংলাদেশ কুয়াকাটায় নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলেরা ইরাবের নতুন সভাপতি ফারুক, সম্পাদক সালমান

সকল