৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

জামালপুরে থামছে না ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি

জামালপুর টাউন রেলওয়ে স্টেশনের প্রধান ফটক : নয়া দিগন্ত -


ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি বন্ধে অনলাইনে টিকিট সংগ্রহের পদ্ধতি চালু থাকলেও জামালপুরের বিভিন্ন রেলস্টেশনে কোনোভাবেই থামছে না ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য। রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টার বা অনলাইনে টিকিট পাওয়া না গেলেও কালোবাজারিদের কাছে কোনো অভাব নেই।
যাত্রীদের অভিযোগ, অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ পদ্ধতি চালু করায় অনলাইন এক্সপার্টদের নিয়ে কালোবাজারিরা সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। এই সিন্ডিকেটের সাথে ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ ঢাকা-তারাকান্দি রেল রুটের বিভিন্ন স্টেশনের টিকিট সংশ্লিষ্ট রেলওয়ের অসাধু কর্মচারী এবং স্টেশন মাস্টাররা জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর টিকিট ১০ দিন আগে অনলাইনে আপলোড করা হয়। কোন দিন বা কোন সময় অনলাইনে টিকিট আপলোড করা হয়েছে তা জানেন না সাধারণ রেলযাত্রীরা। কিন্তু স্টেশনগুলোর টিকিট সংশ্লিষ্ট রেলওয়ের অসাধু কর্মচারী এবং স্টেশন মাস্টাররা সাথে সাথে টিকিট কালোবাজারি সিন্ডিকেটের সাইবার গ্রুপকে জানিয়ে দেয়া হয় বলে জানা গেছে। তাই ট্রেনের টিকিট অনলাইনে আপলোড হওয়ার সাথে সাথে কালোবাজারি সিন্ডিকেটের সাইবার গ্রুপের এক্সপার্টরা সাধারণ যাত্রীরা বুঝে ওঠার আগেই বিভিন্ন ব্যক্তির এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে টিকিট সংগ্রহ করে সিন্ডিকেটের হাতে তুলে দেয়। যে কারণে সাধারণ যাত্রীদের দ্বারস্থ হতে হয় কালোবাজারিদের কাছে।

ট্রেন যাত্রী ছামিউল হক বলেন, এ দেশের ৯০ শতাংশ মানুষ এখনো অনলাইনে কিভাবে টিকিট কাটতে হয় তা বুঝেন না। এই সুযোগে পতিত সরকারের রেলমন্ত্রী অনলাইনে ট্রেনের টিকিট সিস্টেম চালু করে তার সাইবার গ্রুপের মাধ্যমে কালোবাজারি সিন্ডিকেট করে যাত্রীদের সেবার পরিবর্তে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। অপর দিকে অনলাইন সম্পর্কে ধারণা নেই এমন প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ টিকিট না পেয়ে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ ঢাকা-তারাকান্দি রেল রুটে আন্তঃনগর তিস্তা এক্সপ্রেস, ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, বলাকা এক্সপ্রেস এবং অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, বিজয় এক্সপ্রেস, বেসরকারি কমিউটার ট্রেনসহ ১০টি ট্রেনে প্রতি দিন হাজার হাজার যাত্রী চলাচল করে থাকে।

রেলযাত্রী সাহাজ উদ্দিন বলেন, অনলাইন টিকিট সিস্টেম বাতিল করে সরাসরি স্টেশন কাউন্টারে টিকিট সেল চালু করা উচিত। কারণ অনলাইন সিস্টেম বুঝেন না এমন যাত্রীরা যেন স্টেশন কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন ।
রেলযাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, অনলাইন কিংবা কাউন্টারে কোথাও টিকিট না পেয়ে বাধ্য হয়ে কালোবাজারিদের কাছ থেকে ২৫০ টাকার টিকিট ৪০০ টাকায় নিতে হচ্ছে ।
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি বন্ধে সাধারণ যাত্রীরা রেলওয়ে গোয়েন্দা সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদুর রহমান বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে টিকিট কালোবাজারি সিন্ডিকেট দমনে রেলস্টেশন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement