২০ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩০, ১৬ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

খনন কাজে অব্যবস্থাপনা, তুলে রাখা মাটিতেই ভরছে ময়ূর নদ

খুলনায় ময়ূর নদের খনন করা মাটি তীরেই রাখা হচ্ছে : নয়া দিগন্ত -


খননের মাটি পাশেই রাখা হচ্ছে। বৃষ্টিতে খননের সেই মাটিতেই ভরাট হচ্ছে ময়ূর নদ। ময়ূর নদ খনন প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা এভাবেই গ””া যাচ্ছে। মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০১৪ সালে প্রথম ময়ূর নদ খনন প্রকল্প হাতে নেয় খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। বছর ঘুরতেই নদ পুরোনো চেহারায় ফিরলে প্রকল্পের প্রায় ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা জলে যায়।
ব্যাপক সমালোচনার মুখে ২০১৮ সালে খননে নতুন প্রকল্প নেয় কেসিসি। এবার নদের দুই পাশে বাঁধ দিয়ে পানি নিষ্কাশন শেষে খনন, নদের ৮৫ শতাংশ শক্ত মাটি ৫০০ মিটার ও ১৫ শতাংশ নরম পেড়িমাটি পাঁচ কিলোমিটার দূরে ফেলার শর্তে নতুন চুক্তি হয়। কিন্তু কে শোনে কার কথা। পানির মধ্যে এক্সক্যাভেটর দিয়ে কতটুকু মাটি খনন করা হচ্ছে তাও বোঝার উপায় নেই। এ প্রকল্পের চরম অব্যবস্থাপনা ও দোষীদের বিচারের দাবিসহ নদ বাঁচাতে সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন, মার্চ টু ময়ূর রিভারসহ নানান কর্মসূচিতে সোচ্চার নগরবাসী ও পরিবেশবিদরা।
কেসিসি জানায়, ৮২৩ কোটি টাকার ‘জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় ময়ূর নদ খনন হচ্ছে। এ জন্য ২০২২ সালের ৭ জুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমিন অ্যান্ড কোং অ্যান্ড শহীদ এন্টারপ্রাইজকে কার্যাদেশ দেয় কেসিসি। তাদের চুক্তিমূল্য সাত কোটি ৫৯ লাখ টাকা। ২০২৩ সালের ৩০ জুন তাদের কাজ শেষ করার কথা থাকলেও দুই দফা সময় বাড়ানো হয়।

প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, নগরীর বয়রা শ্মশান ঘাটের ৮০ মিটার উজান থেকে সাচিবুনিয়া ব্রিজের ১০০ মিটার পূর্ব পর্যন্ত মোট পাঁচ হাজার ৯১০ মিটার নদী কাটা হবে। গড়ে দুই থেকে সাত ফুট পর্যন্ত নদী খনন করা হবে। ময়ূর নদ বর্তমানে ৬৬ থেকে ১৪৪ ফুট পর্যন্ত চওড়া। গত ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নদের আড়াই কিলোমিটার খনন হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, এতদিন দুই পাশে বাঁধ দিয়ে পানি শুকিয়ে খনন করা হয়েছে। কিন্তু কিছু দিন পরপর এলাকাবাসী বাঁধ কেটে দেয়ায় পুরো এলাকা তলিয়ে যায়। নতুন করে বাঁধ দিয়ে পানি নিষ্কাশনে বিপুল টাকা ব্যয় হয়। দেশে অন্য কোথাও বাঁধ দিয়ে নদী শুকিয়ে মাটি কাটা হয় না। তার পরও শর্ত মেনে কাজ করার চেষ্টা চলছে।

ময়ূর পাড়ের বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বলেন, এ খননের প্রক্রিয়া যে কতটুকু সফলতা বয়ে আনবে তা আমরা জানি না। এ নদ থেকে যে মাটি অথবা পলি তোলা হচ্ছে, তার সঠিক ব্যবস্থাপনা করতে হবে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) খুলনার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার বলেন, যারা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারসহ দুর্নীতি-লুটপাটের টাকা উদ্ধার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়া উচিত।
কেসিসির জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, আরএস ম্যাপ অনুসরণ করে ময়ূর নদ খনন করা হচ্ছে। তবে নদীর পাশে জায়গা না থাকায় হাঁটার পথ তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমাদের যে বিশেষজ্ঞ আছে তারা এই নদ খননের সবকিছু বুঝে নিচ্ছেন। ফলে এখানে দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই।


আরো সংবাদ



premium cement
আ’লীগ ১৪ দল জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের দাবি পুলিশের মূর্তিমান আতঙ্ক ধনঞ্জয়ের খোঁজ মিলছে না বিশ্বে স্বাস্থ্যসেবার বাইরে এখনো ৪৫০ কোটি মানুষ ৭ মার্চ ও ১৫ আগস্ট জাতীয় দিবস বাতিলের মিছিলে পিটুনি যুদ্ধ বন্ধ ও সেনা প্রত্যাহার ছাড়া কোনো বন্দিমুক্তি নয় : হামাস ২৯৭ কোটি টাকার কাজ পাচ্ছে গত সরকারের আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠান! তহবিল ব্যবস্থাপনায় কাহিল পুনর্গঠিত ব্যাংকের কর্মকর্তারা বিএসএমএমইউতে কম টাকায় কিডনি প্রতিস্থাপন বন্ধ শিগগিরই শুরুর আশ্বাস হত্যা মামলায় কামাল আহমেদ মজুমদার ৩ দিনের রিমান্ডে জান্তা পতনে মিয়ানমারে মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিষ্টান এক সাথে লড়ছে ইলেকশন কমিশন গঠনে দ্রুতই সার্চ কমিটি হবে : মাহফুজ

সকল