সাতক্ষীরায় মৎস্য ঘেরে হামলা লুটপাট আহত ৩
- সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
- ২০ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১৫
সাতক্ষীরায় বিচারক ছেলের প্রভাব খাটিয়ে এক ব্যক্তির ইজারাকৃত দুই বিঘার মৎস্য ঘেরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। লুটপাটে বাধা দেয়ায় একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে।
গত শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের কামারডাঙা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন ওই গ্রামের প্রভাস সরকারের স্ত্রী ভাদ্দুরি সরকার, তার ছেলে তাপস সরকার ও তাপসের স্ত্রী শম্পা সরকার। আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা শহরের উত্তর কাটিয়ার শেখ মোদাচ্ছেব আলীর মেয়ে সেলিনা খাতুন জানান, তার মৃত ভাই আব্দুর রহিমের ছেলে আল আরাফাত শুভ পৈত্রিক সূত্রে দুই বিঘা জমির মালিক। নাবালকের অভিভাবক হিসেবে তার আরেক ভাই আব্দুস সালাম মন্টু ওই জমি ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের কামারডাঙা গ্রামের ভদ্রকান্ত সরকারের কাছে ১৮ বছর আগে থেকে লিজ দিয়ে আসছিলেন। শুভ’র জমির পাশে তাদেরই শরিকের ছয় বিঘা জমি কয়েক বছর আগে কেনেন মাছখোলা গ্রামের আতাউর রহমান। এরপর থেকে জমির সীমানা নিয়ে ভদ্রকান্ত ও আতাউর রহমানের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। ভদ্রকান্ত সরকারের লিজ নেয়া ওই জমি তার চাচাত ভাই তাপস সরকার দেখাশুনা করতেন।
সেলিনা খাতুন আরো জানান, গত ১৯ আগস্ট শুভকে বাড়ি থেকে তুলে এনে ভদ্রকান্তের কাছে ইজারা দেয়া দুই বিঘা জমির দলিলে জোরপূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেন আতাউর রহমান। এ ঘটনা জেনে তিনি ঢাকা থেকে ফিরে প্রতিবাদ করেন। দলিল করে নেয়ার পর শুভ’র হাতে ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তারা চলে যান। এ সময় মাছ ধরে নেয়ার জন্য ভদ্রকান্ত সরকারকে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়া হয়।
ভদ্রকান্ত সরকার অভিযোগ করে জানান, শর্ত ভঙ্গ করে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আতাউর রহমান ২৫/৩০ জন ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে তাকে উচ্ছেদ করতে ওই দুই বিঘা জমির বেড়িবাঁধ কেটে দিয়ে নিজের ঘেরের সাথে মিশিয়ে দেন। ভেঙে দেয়া হয় ঘেরের বাসা। জাল টেনে ধরা হয় কয়েক হাজার টাকার মাছ। মাছ ধরতে বাধা দেয়ায় চাচাতো ভাই তাপস সরকার, তার স্ত্রী শম্পা সরকার ও মা ভাদ্দুরি সরকারকে পিটিয়ে জখম করা হয়। অভিযুক্ত আতাউর রহমানের সাথে কথা বলার জন্য তার মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা