০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ৩ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

গজারিয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় একজনের কব্জি বিচ্ছিন্ন

-

মুন্সীগঞ্জে গজারিয়ার চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামে পূর্বশত্রুতার জেরে বাউল গানের আসরে প্রতিপক্ষের হামলায় একজনের হাতের কব্জি বিচ্ছিন্নসহ চারজন আহত হয়েছে। শনিবার রাত ৯টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।আহতরা হলেন চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামের মৃত গর্জন আলী সরকারের ছেলে নুরুজ্জামান (৬৫), মুক্তার হোসেন (৩৭) ও তাদের চাচাতো ভাই শাকিল (২৩) ও নাতি হামিম (১৪)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সীমানাসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের চৌদ্দকাউনিয়া গ্রামের ফজলুল করিমের সাথে প্রতিবেশী বাসেত মিয়ার বিরোধ চলছিল। এসব বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গত রজমান মাসে ফজলুল করিমের ভাতিজা সজিব বাসেত মিয়াকে কুপিয়ে জখম করে। আহত বাসেতকে হাসপাতালে নিয়ে যান আরেক প্রতিবেশী নুরুজ্জামান।

এ ঘটনায় নুরুজ্জামানের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলে ফজলুল করিম ও তার স্বজনরা। ওই ঘটনার জের ধরে শনিবার রাত ৯টার দিকে সজিব, জাহাঙ্গীর, ফজলু, নান্নু, বাবু, রবিউল আউয়াল, হাসানসহ কয়েকজন বাউল গানের আসরে নুরুজ্জামানের ওপর হামলা চালান। এ সময় তারা তাকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে আহত করেন। তাকে বাঁচাতে তার ছোট ভাই মুক্তার ও পরিবারের সদস্য এগিয়ে এলে তাদেরকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। হামলাকারীরা নুরুজ্জামানের এক হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এ সময় আহতে চিৎকারে আশেপাশে লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়া নুরুজ্জামান বলেন, আমি ঝগড়ার মধ্যে ছিলাম না আর এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিও না। সন্ত্রাসীরা বিনা কারণে ওপর হামলা চালিয়েছে। আমি শুধু একজন আহত মানুষকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম এটা ছিল আমার অপরাধ। সন্ত্রাসী সজীব দা দিয়ে কোপ দিয়ে আমার হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। আমি সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
গজারিয়া থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, ঘটনার পর থেকে হামলাকারীরা সবাই পলাতক। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement