০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ন ১৪৩১,
`

নিউজিল্যান্ডে সংসদের সামনে জনতার বিক্ষোভ-পাল্টা বিক্ষোভ

নিউজিল্যান্ডে সংসদের সামনে জনতার বিক্ষোভ-পাল্টা বিক্ষোভ - ছবি : সংগৃহীত

নিউজিল্যান্ডে সরকারের মহামারী প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষুব্ধ প্রায় দুই হাজার বিক্ষোভকারী মঙ্গলবার দেশটির সংসদ ভবনের সামনে সমবেত হয়। ছয় মাস আগেও প্রতিবাদকারীরা তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সংসদের মাঠে তাঁবু গেঁড়ে অবস্থান নিয়েছিল, তবে এবার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেনি।

অনেক বিক্ষোভকারী বলছেন, তাদের সেখানে থাকার চেষ্টা করার কোনো ইচ্ছা নেই।

এর আগের বিক্ষোভটি রাজধানীতে ব্যাপক ব্যাঘাত সৃষ্টি করেছিল এবং শেষ পর্যন্ত বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে সেটি শেষ হয়। পিছু হটতে থাকা বিক্ষোভকারীরা তাঁবুতে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।

এবার অবশ্য পাল্টা বিক্ষোভও হয়েছে। মূল মিছিলের বহর সংসদ প্রাঙ্গণে প্রবেশের সাথে সাথে উল্টো দিক থেকে কয়েক শ’ লোক সংসদ ভবনের সামনে জড়ো হয়। উভয় পক্ষ একে অপরকে উদ্দেশ্য করে চিৎকার করলেও, পুলিশ একটি মানব বেষ্টনী তৈরি করে শারীরিকভাবে তাদের আলাদা করে রাখে।

প্রতিবাদকারী কারমেন পেজ বলেছেন, যেসব লোককে টিকা দেয়া হয়নি তারা চলমান বৈষম্যের শিকার হয়েছে। সরকারি আদেশের ফলে লোকেরা তাদের চাকরি এবং বাড়ি-ঘর হারিয়েছে। তিনি বলেন, এটি নিছক সরকারের বাড়াবাড়ি।

পেজ বলেন, আমরা এখানে কারো নিয়ন্ত্রণাধীন থাকতে চাই না, আমরা শুধু স্বাধীনভাবে আমাদের জীবনযাপন করতে চাই। আমরা যেখানেই কাজ করি না কেন, সেখানে বৈষম্য ছাড়াই কাজ করতে চাই।

পাল্টা প্রতিবাদে, লিন মঘ্যাম নামে উপস্থিত এক নারী বলেন, তিনি এবং তার স্বামী এখানে উপস্থিত হওয়ার জন্য রাজধানীতে থাকার সময় বাড়িয়েছিলেন।

তিনি বলেন, সরকার হয়তো সবকিছু নিখুঁতভাবে করেনি তবে সামগ্রিকভাবে তারা ভালো কাজই করেছে। তবে মহামারী মোকাবেলা করার জন্য কোনো নীল নকশাতো নেই।

অনেক বিক্ষোভকারী বলেছেন, তারা আশা করছেন, প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন আগামী বছরের নির্বাচনে আর ভোট পাবেন না। বিক্ষোভকারী নেতা ব্রায়ান তামাকি জনতার উদ্দেশে বলেন, তিনি আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য শিগগিরই একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করছেন।

আরডার্ন ২০১৭ সালে প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন এবং তার প্রাথমিক মহামারী মোকাবেলার প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে তার উদারপন্থী লেবার পার্টি ২০২০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করে।

কিন্তু মহামারী যখন অব্যাহত থাকে এবং মুদ্রাস্ফীতিসহ দেশটি নতুন নতুন সমস্যার সম্মুখীন হলে, আরডার্নের জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়। সাম্প্রতিক জনমত জরিপে, বিরোধী রক্ষণশীল ন্যাশনাল পার্টি লেবার পার্টি থেকে এগিয়ে রয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিক্ষোভে সহিংসতা কিংবা প্রাথমিকভাবে অন্য কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা


আরো সংবাদ



premium cement