২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

অলিম্পিক্সের ষষ্ঠ সোনা জিতলেন বাইলস, অলরাউন্ড বিভাগে সেরা আমেরিকার জিমন্যাস্ট

অলিম্পিক্সের ষষ্ঠ সোনা জিতলেন বাইলস, অলরাউন্ড বিভাগে সেরা আমেরিকার জিমন্যাস্ট - ছবি : সংগৃহীত

এবারের অলিম্পিক্সে দ্বিতীয় সোনা সিমোন বাইলসের। দলগত বিভাগে সোনা জয়ের পর ব্যক্তিগত ইভেন্টেও সোনা জিতলেন তিনি। আমেরিকার এই জিমন্যাস্ট ২৭ বছর বয়সেও বুঝিয়ে দিলেন কেন তিনিই সেরা। অলিম্পিক্সে নবম পদক বাইলসের। জিমন্যাস্টিক্সে বাকিদের থেকে কয়েক মাইল এগিয়ে বাইলস।

বাইলস আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক্সে মেয়েদের অলরাউন্ড ইভেন্টে শুরু করেছিলেন ভল্ট দিয়ে। মেয়েদের ব্যক্তিগত এই ইভেন্টে আছে চারটি রাউন্ড, ভল্ট, আনইভেন বারস, ব্যালান্স বিম এবং ফ্লোর এক্সারসাইজ। বাইলস শুরু করেছিলেন ভল্ট দিয়ে। সেখানে তিনি মোট ১৫.৭৬৬ স্কোর করেন। আনইভেনে বারসে বাইলস স্কোর করেন ১৩.৭৩৩। ব্যালান্স বিমে ১৪.৪৬৬ স্কোর করেন বাইলস। তিনটি রাউন্ড শেষে শীর্ষে ছিলেন তিনি। ফ্লোর এক্সারসাইজের পর সোনা নিশ্চিত করেন বাইলস।

শেষ রাউন্ডে বাইলসকে লড়াইয়ের মুখে ফেলে দিতে পারতেন আমেরিকার লি সুনিসা। তাকে সঙ্গে নিয়েই দলগত বিভাগে সোনা জিতেছিলেন বাইলস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুনিসা শেষ করেন তিন নম্বরে। ব্রোঞ্জ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে। ফ্লোর এক্সারসাইজে ১৫.০৬৬ স্কোর করেন বাইলস। যা সকলের থেকে বেশি। দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেন ব্রাজিলের রেবেকা আনদ্রাদে। তার থেকে বাইলস এগিয়ে ১.১৯৯ স্কোরে। তৃতীয় স্থানে থাকা সতীর্থ সুনিসার থেকে ২.৬৬৬ স্কোরে এগিয়ে শেষ করলেন তিনি।

প্যারিস অলিম্পিক্সে প্রথম সোনা বাইলসের, দলগত ইভেন্টে আমেরিকাকে জেতালেন জিমন্যাস্ট
আট বছর আগে রিয়ো অলিম্পিক্সে চারটি সোনা জিতেছিলেন বাইলস। ওই সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর। দলের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রতিযোগী ছিলেন তিনি। টোকিয়োয় মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন বাইলস। তাতেও একটি রুপা এবং দু'টি ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন তিনি।

এবারের অলিম্পিক্সে বাইলস নেমেছেন নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে। বুঝিয়ে দিতে, জিমন্যাস্টিক্সের দুনিয়ায় তিনিই সর্বকালের সেরা। সেই পথে বৃহস্পতিবার অনেকটাই এগিয়ে গেলেন বাইলস। তাই সোনা জয়ের পর নিজেই পরে নিলেন একটি নেকলেস। তাতে রয়েছে ছাগলের রূপাকৃতির লকেট। বুঝিয়ে দিলেন তিনিই জিওএটি, গোট- অর্থাৎ সর্বকালের সেরা।


আরো সংবাদ



premium cement