২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ ফাল্গুন ১৪৩০, ২২ শাবান ১৪৪৬
`

শেষ দিনের দাপটে সেরা নৌবাহিনী

৪৭তম জাতীয় অ্যাথলেটিক্সের শেষ দিনের দাপটে সেরা নৌবাহিনী - ছবি : নয়া দিগন্ত

প্রথম দিনে পদক তালিকায় শীর্ষেই ছিল বাংলাদেশ নৌবাহিনী। তাদের সাত স্বর্ণের বিপরীতে সেনাবাহিনীর পাঁচ স্বর্ণ। দ্বিতীয় দিন তাদের ১৫ স্বর্ণ আর নৌবাহিনীর ১৩টি। তাই জাতীয় স্টেডিয়ামে গতকালের ১২ ইভেন্টের দিকে তাকিয়ে ছিল সবাই। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হলো নৌবাহিনী।

আগামীকাল ৪৭তম জাতীয় অ্যাথলেটিক্সের শেষ দিনের ১২ ইভেন্টের আটটিতেই স্বর্ণ নৌ বাহিনীর। ফলে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বিজয় উল্লাস নৌবাহিনীর। তাদের ভান্ডারে ২১টি স্বর্ণ । আর সেনাবাহিনী পেয়েছে ১৯ স্বর্ণ। প্রথম দিন থেকেই এই দু’বাহিনীর খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। কাল শেষ দিনেও এক পক্ষ আরেক পক্ষের দিকে তেড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

দুই বাহিনীর উপস্থিত শীর্ষ কর্মকর্তাদের ভূমিকায় পরিস্থিতি ঠান্ডা হয়। আসরের সেরা অ্যাথলেট হয়েছেন সেনাবাহিনীর নাজমুল হোসেন রনি ও বর্ষা খাতুন। সেরা কোচ হয়েছেন ফরিদ খান চৌধুরী।

গতকাল সবার দৃষ্টি ছিল নৌবাহিনীর স্প্রিন্টার জহির রায়হানের ওপর। তার গলায় কি উঠবে চতুর্থ স্বর্ণ। আগের দিন প্রিয় ৪০০ মিটারে স্বর্ণ জয়ের পর ১০০ মিটার রিলেতে স্বর্ণ জয়। কাল চার গুণিতক ৪০০ মিটার রিলেতে অন্যদের সাথে নিয়ে জহির ঠিকই স্বর্ণ জিতেছেন। তবে ২০০ মিটারে পারেননি নিজ দলের রাকিবুল হাসানের কাছে হেরে। এই রাকিব ১০০ মিটারে ৯ বার স্বর্ণ জয়ে ব্যর্থ হলেও ২০০ মিটারে সফল। কালও তিনি স্বর্ণ জয় করেন এই ইভেন্টে। জহির পেয়েছেন রৌপ্য। ক্যারিয়ারে দুই বার এক মিটে ৪টি করে স্বর্ণ জয়ের কৃতিত্ব আছে জহির রায়হানের। এর একটি ছিল গতবারের জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে। নারীদের ২০০ মিটারে শিরিন ১২ তম স্বর্ণ জয় করেন গতকাল।

শেষ দিনে দুটি নতুন জাতীয় রেকর্ড হয়েছে। নারীদের ৪০০ মিটার রিলেতে নৌবাহিনীর শিরিন আক্তার, নুসরাত জাহান, সাবিহা আল সোহা এবং নখেরা খাতুন। তারা সময় নেন ৩ মিনিট ৫১ দশমিক ৫২ সেকেন্ড। ১৯৯৩ সালে এই ইভেন্টে আগের রেকর্ডটি হয়েছিল। তখন টাইমিং ছিল ৩ মিনিট ৫৫ দশমিক ৫৫ সেকেন্ড।

অপর রেকর্ড ছিল পোল ভোল্টে। এতে সেনাবাহিনীর সৌরভ মিয়া ৪.৫০ মিটার লাফিয়ে এই রেকর্ড করেন। আগের রেকর্ড ছিল নৌবাহিনীর হুমায়ুন কবিরের। তিনি ২০০৬ সালে ৪.৩৫ মিটার লাফান। মোট ৬টি রেকর্ড হয়েছে এবার।


আরো সংবাদ



premium cement