ফিলিপাইনে অগ্নুৎপাতের পর শত শত লোক জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৪ জুন ২০২৪, ১৬:১৭
ফিলিপাইনে মধ্য অঞ্চলে একটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর মঙ্গলবার শত শত মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
নেগ্রোস দ্বীপের মাউন্ট কানলাওন সোমবার রাতে ছয় মিনিটের জন্য বিস্ফোরিত হয়েছিল। বিষ্ফোরণের ছাই, শিলা ও গ্যাস আকাশে পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।
রাষ্ট্রীয় আগ্নেয়গিরি সংস্থা সতর্কতা মাত্রা শূন্য থেকে পাঁচ স্কেলে এক থেকে দুই পর্যন্ত বাড়িয়েছে। আরো বিস্ফোরক অগ্ন্যুৎপাত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ছাই, গ্যাস ও আগ্নেয়গিরি থেকে লাহারের (পাথর ও কাদামাটির স্রোত) হুমকির কারণে কমপক্ষে দুই হাজার ৮০০ লোককে জরুরি কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
লাহার হলো আগ্নেয়গিরির ধ্বংসাবশেষের বিশাল প্রবাহ, যা আগ্নেয়গিরির ঢালে জমা হয় এবং ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ছড়িয়ে পড়ে। যা গোটা গ্রামকে ঢেকে দিতে পারে।
নেগ্রোস ওরিয়েন্টাল প্রদেশের ক্যানলাওন শহর, আগ্নেয়গিরির নিচের দিকে নদীর পাশে বসবাসকারী লোকদের তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
নেগ্রোস অক্সিডেন্টাল প্রদেশের রাজধানী বাকোলোড এবং আগ্নেয়গিরির নিকটতম প্রধান বিমানবন্দর থেকে একাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
নেগ্রোস অক্সিডেন্টাল প্রাদেশিক দুর্যোগ সংস্থার রবার্ট অ্যারানেটা বলেন, ‘ধোঁয়া ইতোমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করা এবং বার্তাসংস্থা এএফপি যাচাইকৃত ছবি এবং ভিডিওগুলোতে রাস্তা এবং বিল্ডিংগুলোতে ছাইয়ের ধুলো দেখা গেছে।
ফিলিপাইন ভূকম্পনগতভাবে সক্রিয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অফ ফায়ার’ এ অবস্থিত। দেশটিতে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি আগ্নেয়গিরি রয়েছে। দ্বীপপুঞ্জের ২৪টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির মধ্যে কানলাওন একটি।
ভারী ছাইয়ের কারণে ঘরের ছাদ ভেঙে পড়তে পারে এবং জেট ইঞ্জিনগুলোকে অচল করে দিতে পারে।
সূত্র : বাসস