চীনের প্রধান মেগাপ্রজেক্টের খুব কাছে এখন মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৪, আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৮
মিয়ানমারের বিদ্রোহী বাহিনী যখন পূর্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত শহরের নিয়ন্ত্রণের জন্য সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধ করছে, তখন আরেকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী পশ্চিমে একটি চীনা-অর্থায়নকৃত তেল ও গ্যাস টার্মিনালের খুব কাছে এগিয়ে যাচ্ছে।
২০২১ সালের একটি অভ্যুত্থানে মিয়ানমারের নিয়ন্ত্রণ দখলকারী সামরিক শাসনের সাথে নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার পর থেকে, আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চল জুড়ে যুদ্ধক্ষেত্রে ক্রমশ জয়লাভ করেছে। ওই স্থানটি দেশের সুদূর পশ্চিমে আরাকান নামেও পরিচিত।
লন্ডন-ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের মিয়ানমারের দ্বন্দ্ব মানচিত্র পরিচালনাকারী মরগান মাইকেলস বলেছেন, ‘এএ (আরাকান আর্মি) বেশিরভাগ সময় প্রভাবশালী অবস্থান জয়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সফল হয়েছে, যদিও সব সময় নয়।’
আরাকান আর্মি এবং স্থানীয় মিডিয়া বলছে, এই গোষ্ঠীটি এখন রাখাইনের ১৭টি শহরতলীর মধ্যে আটটি এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্য চিনের আরো একটি শহরতলী নিয়ন্ত্রণ করছে।
মাইকেলস, যার গবেষণায় সেই রিপোর্টগুলি যাচাই করা হচ্ছে তিনি বলেছেন যে- সামরিক বাহিনী এখনো আরাকান আর্মি দখল করে নেয়া কিছু শহরতলীর কয়েকটি স্থান নিয়ন্ত্রণ করছে বলে মনে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু মূল বিষয় হল তারা শাসকদের পারস্পরিক প্রতিরক্ষাগুলি ভেঙে দিয়েছে। আর তাই শাসকদের কিছু চৌকি অবশিষ্ট থাকলেও, তারা কেবল এটির পাশ কাটিয়ে যেতে পারে, তাই এই জায়গাগুলিতে তাদের চলাচলের স্বাধীনতা রয়েছে। তারা তাদের প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারে, তাই তারা যেন সেখানে প্রভাবশালী খেলোয়াড়।’
আরাকান আর্মি অ্যানসহ আরো তিনটি শহরতলীতে আক্রমণ চালাচ্ছে, যেখানে সামরিক বাহিনী তার ওয়েস্টার্ন কমান্ডের ঘাঁটি স্থাপন করে এবং বলে যে- এটি রাজ্যের রাজধানী সিটওয়ে এবং কিয়াউকফিউ বন্দর শহর উভয়েরই কাছাকাছি পৌঁছাচ্ছে।
আরাকান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র খাইন থু খা বৃহস্পতিবার ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, দলটি শিগগিরই এই দুটি শহর দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সিটওয়ে এবং কিয়াউকফিউ ঘিরে ফেলেছি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো আমাদের সমস্ত পৈতৃক জমি পুনরুদ্ধার করা। মানে পুরো আরাকান।’
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা