২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

কিং জং উন গুরুতর অসুস্থ?

কিং জং উন গুরুতর অসুস্থ? - সংগৃহীত

উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনকে ঘিরে গোপনীয়তার বেড়াজাল নতুন বিষয় নয়৷ এবার তার স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনাকল্পনা শুরু হয়েছে৷

একাধিক সূত্রে দাবি করা হয়েছে, যে এক জটিল অস্ত্রোপচারের পর কিমের অবস্থা এখন বেশ গুরুতর৷ দক্ষিণ কোরিয়ার অনলাইন সংবাদপত্র ‘ডেইলি এনকে ইন সাউথ কোরিয়া’ মঙ্গলবার দাবি করছে যে, গত ১২ এপ্রিল কিম জং উন-এর হৃদযন্ত্রে ‘কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেম প্রসিডিয়র' চালানো হয়েছে৷ এই চিকিৎসার জের ধরে তাঁর শারীরিক অবস্থা সংকটজনক বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে৷ মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন-ও এক মার্কিন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে একই দাবি করেছে৷

এমন খবরের সত্যতা যাচাই করা সহজ নয়৷ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দফতর অবশ্য জানিয়েছে যে, কিম জং উন-এর স্বাস্থ্য নিয়ে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে, এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে৷ তবে উত্তর কোরিয়ায় কোনো অস্বাভাবিক কার্যকলাপ দেখা যাচ্ছে না৷ দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের দুটি সূত্র অবশ্য মনে করছে, কিম জং উন মোটেই মারাত্মক কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছেন না৷ দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তাও এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারেননি৷

গত ১৫ এপ্রিল পিতামহ কিম ইল সুং-এর জন্মদিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কিম জং উন-কে দেখা যায় নি৷ তবে ১১ এপ্রিল পিয়ংইয়ং শহরে পার্টির এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তাঁকে দেখা গিয়েছিল৷ উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, গত ১২ এপ্রিল কিম এক সামরিক বিমান ঘাঁটি পরিদর্শন করেছেন৷ সেখানে তিনি বোমারু বিমানের মহড়া পর্যবেক্ষণ করেছেন৷ এর ঠিক দুই দিন পর উত্তর কোরিয়া এক মহড়ার আওতায় সমুদ্রে বেশ কয়েকটি কম পাল্লার জাহাজ-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে৷

মার্কিন প্রশাসনও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে৷ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা এপি-কে বলেন, কিম জং উন-এর উপর অস্ত্রোপচারের খবর সম্ভবত সত্য৷ চিকিৎসার কারণে হয়তো জটিলতা দেখা যাচ্ছে৷ ফলে কিম আপাতত শয্যাশায়ী অথবার তার শারীরিক অবস্থা হয়তো আরো গুরুতর৷ তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না৷ জাপানের মন্ত্রিসভার প্রধান সিচব ইয়োশিদে সুগা বলেন, জাপানও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে৷

কিম জং উন-এর স্বাস্থ্যের অবনতি হলেও উত্তরো কোরিয়ায় কোনো রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কা করছেন না অনেক পর্যবেক্ষক৷ সৌলে সেজং ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ চেয়ং সেয়ং চ্যাং এপি-কে বলেন, এমন পরিস্থিতি দেখা দিলে কিমের বোন কিম ইয়ো জং এরই মধ্যে সরকারের উপর যথেষ্ট প্রভাব দেখাচ্ছেন৷ উত্তর কোরিয়ার নেতৃত্ব নিজস্ব স্বার্থেই কিম-এর পরিবারের হাতেই দেশের রাশ রেখে দিতে আগ্রহী৷
সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement