থাইল্যান্ডে মঠ থেকে উদ্ধার ৭৩ লাশ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১০
মঠের ভিতর লুকিয়ে রাখা হয়েছিল, এক-দুটি নয়, ৭৩টা লাশ। কোথা থেকে এলো এত মৃতদেহ? কেনইবা জমানো হয়েছে মৃতদেহ? বলা হচ্ছে, বৌদ্ধ ভিক্ষুদের প্রশিক্ষণ দেয়ার কাজে ব্যবহার করা হতো এই মৃতদেহগুলো। তবে এখানেই শেষ নয়। ওই একই বৌদ্ধমঠে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ উদ্ধার করেছে প্রায় ৬০০ কুমির। ঘটনাটি থাইল্যান্ডের।
মঠের মধ্যেই এক পুকুরে চাষ করা হতো কুমিরের। এই বৌদ্ধ মঠটি অবস্থিত থাইল্যান্ডের ফিচিট প্রদেশে। ১৬০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এই মঠটির চারপাশে রয়েছে ঘন জঙ্গল। থিফাকসং পা সাংনায়াথাম নামে পরিচিত ওই মঠটি মূলত আধ্যাত্মিকতা চর্চার পীঠস্থান বলেই পরিচিত। সেখানেই তল্লাশি চালায় পুলিশ। ২২ নভেম্বর অভিযান চালিয়ে ৪১টি মৃতদেহ উদ্ধার করে ওই মঠ থেকে।
ভিক্ষুদের দাবি, এই মৃতদেহগুলো মঠের ভিক্ষুদের পরিবারের লোকেদের। অনেক সময় মৃত্যুর পর পরিবারের লোকেরা তাদের কাছে থাকতে চান। তাই তাদের মৃতদেহ এখানে এনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে কিছু মঠের পুরনো ভিক্ষুদের মৃতদেহও রয়েছে। পুলিশের তল্লাশিতে পাওয়া যায় বেশ কয়েকটি কফিনও। মৃতদেহের প্রমাণ হিসেবে পুলিশকে ডেথ সার্টিফিকেটও দেখান মঠের প্রধান।
সন্ধান মিলেছে খোলা হাওয়া বাতাস যুক্ত একটি ধ্যান কেন্দ্রের। মঠের ভেতরে রয়েছে ৪টি ডাইনিং হল। এতগুলো ডাইনিং হল কেন, তার কারণ জানা যায়নি। মঠের ভেতরে রয়েছে একটি বড় পুকুর। সেখানেই পাওয়া যায় ৬০০ কুমির। মঠে যেসব দর্শনার্থী আসেন তারা এই কুমিরগুলো একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে দেখতে পান। মঠের প্রধান ভিক্ষু ফ্রা আজান সাই ফন পান্ডিতো দাবি করেছেন, এই কুমিরগুলো তাদের পোষা।
তবে এখানেই শেষ নয়, এই ঘটনার কয়েক দিন পরেই ২৬ নভেম্বর আরো একটি মঠ থেকে পাওয়া যায় ৩২টি মৃতদেহ। মঠটি ফিচিট প্রদেশে অবস্থিত, নাম ব্যাং মুন নাক। ইতোমধ্যেই দুটি মঠেরই সমস্ত কার্যকলাপ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে থাই পুলিশ।
মৃতদেহগুলো কাদের তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। মঠের দাবি যে ধ্যানের শেখানোর জন্যই মৃতদেহগুলো ব্যবহার করা হয়। এই থেকে ভিক্ষুরা মৃত্যু ভয় কাটিয়ে ওঠেন।
সূত্র : জি নিউজ
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা