মেক্সিকোয় ৪৩ ছাত্র নিখোঁজের ঘটনায় সাবেক প্রসিকিউটর গ্রেফতার
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২০ আগস্ট ২০২২, ১০:৩৭, আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২২, ১০:৪৩
মেক্সিকোয় আলোচিত ৪৩ ছাত্র নিখোঁজের ঘটনায় সাবেক এক শীর্ষ প্রসিকিউটরকে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের এই ঘটনায় নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আল-জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।
গ্রেফতারকৃত মুরিলো কারাম এই মামলার সাথে জড়িত এখন পর্যন্ত সবচেয়ে হাইপ্রোফাইল ব্যক্তি, যাকে ওই ছাত্রদের গুম, নির্যাতন এবং এই ঘটনায় ন্যায়বিচারে বাধা দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মেক্সিকো সিটিতে বসবাসকারী এক সময়ের প্রভাবশালী ইনস্টিটিউশনাল রেভোলিউশনারি পার্টির (পিআরআই) সাবেক হেভিওয়েট ব্যক্তিত্ব মুরিলোকে তার বাড়ির বাইরে থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মেক্সিকোর শীর্ষ মানবাধিকার কর্মী আলেজান্দ্রো এনসিনাস ছাত্রদের নিখোঁজ হওয়াকে ‘রাষ্ট্রীয় অপরাধ’ হিসেবে অভিহিত করার একদিন পরে মুরিলোর গ্রেফতার করা হয়।
মুরিলো ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
নিখোঁজ ওই ৪৩ ছাত্র দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের গুয়েরেরো রাজ্যের আয়তজিনাপা রুরাল টিচার’স কলেজে পড়াশোনা করত। তারা বাসে করে বিক্ষোভে যোগ দিতে যাচ্ছিলো।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, পথিমধ্যে দুর্নীতিবাজ পুলিশরা তাদের আটক করে এবং মাদককারবারিদের হাতে তুলে দেয় এই যে বলে যে, ৪৩ জন তাদের প্রতিপক্ষ দলের। তবে তাদের পরিণতি কী হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে এখনো অনেক বিতর্ক আছে।
২০১৫ সালের সরকারী প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাদককারবারিরা ওই ৪৩ ছাত্রকে হত্যা করে পুড়িয়ে নর্দমায় ফেলে দিয়েছে। তবে এই রিপোর্ট প্রত্যাখান করেছিল নিখোঁজ ছাত্রদের পরিবার, নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ এবং জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস।
আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা সরকারী এই তদন্তের সমালোচনা করেছেন।
সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মুরিলো কারামকে ২০১৫ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এনরিক পেনা নিয়েতোর সরকার কর্তৃক উপস্থাপিত ঘটনার ‘ঐতিহাসিক সত্য’ সংস্করণের মূল গল্পকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে নিখোঁজ ছাত্রদের স্বজনরা এই কথিত সত্য প্রত্যাখান করেছিল।
বর্তমান রাষ্ট্রপতি আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর ২০১৮ সালে তার নির্বাচনের পরপরই এই ঘটনার তদন্ত পুনরায় চালু করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা