২০০০ ফুট উঁচু থেকে পড়েও অক্ষত মোবাইল
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৮ ডিসেম্বর ২০২০, ০৭:১৭
কখনো লেভেল ক্রসিংয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে আবার কখনো চলন্ত ট্রেনের দরজায়। আবার কখনো আকাশচুম্বী বহুতল বাড়ির ছাদের কিনারায় একটু ঝুঁকে অথবা নাগরদোলায় বসে—সেলফি তুলতে মনটা কেমন যেন আনচান করে ওঠে। আসলে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা ফ্রেমবন্দি করে রাখতে কে না চায়?
ব্যতিক্রমী ছিলেন না ব্রাজিলের চিত্র পরিচালক আরনেস্টা গ্যালিয়োত্তোরও। বিমানে উঠছিলেন তিনি। প্রায় দু’হাজার ফুট উঁচুতে উড়ছে তার বিমান। আরনেস্টার শখ হলো, গভীর নীল আকাশের মনোরম দৃশ্য মোবাইল বন্দি করার। যেই ভাবা, সেই কাজ। বিমানের জানলা খুলে স্মার্টফোন বের করলেন। সবে ভিডিও রেকর্ডিং করবেন, তখনই হাওয়ার তোড়ে হাত ফস্কে পড়ে যায় মোবাইলটি। আর পড়বি তো পড় একেবারে রুক্ষশুষ্ক মাটিতে! একরকম দৌড়ে এসে জানলা বন্ধ করে দিলেন বিমানসেবিকারা। তা না হলে আরো ভয়াবহ বিপদ হতে পারতো। এ পর্যন্ত সবই ঠিকই ছিল। শুধু প্রিয় মোবাইল হারানোর কষ্টটা কিছুতেই ভুলতে পারছিলেন না আরনেস্টা। বিমানবন্দরে নেমেই তিনি ছুটেছিলেন মোবাইলটি খুঁজতে। যদি অবশিষ্ট কিছু অংশ পাওয়া যায়। খুঁজতে খুঁজতে পেয়েও গেলেন সেটি। তবে ভাঙাচোরা নয়, একেবারে অক্ষত তার সাধের বস্তুটি! মুহূর্তের জন্য বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন আরনেস্টা। এখানেই শেষ নয়, পড়তে পড়তে চারপাশের দৃশ্যও ভিডিও রেকর্ডিং করেছে মোবাইলটি। গোটা পর্বটাই গচ্ছিত রয়েছে তার মেমোরিতে!
মোবাইলটি ছিল আসলে অ্যাপেলের আইফোন-৬। সেই কারণেই বোধহয় নিজেকে রক্ষা করতে পেরেছে সেটি। এমনটাই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। স্বভাবতই স্মার্টফোনের দুনিয়ায় আইফোনের এই ক্যারিশ্মা এখন নেটিজেনদের চর্চার কেন্দ্রে। স্মার্টফোন মানেই হাত থেকে ফেলা যাবে না। বেকায়দায় যদিও বা পড়ে যায়, তা হলে ডিসপ্লে বোর্ড তছনছ হয়ে যাবে। নতুবা ভিতরের কোনও আঘাতে ফোনটাই আর ব্যবহারের উপযোগী থাকবে না। তাই স্মার্টফোনকে খুব যত্নে রাখতে হয়। কিন্তু আরনেস্টার ভাগ্যই হোক কিংবা অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কেরামতি—দু’হাজার ফুট নিচে পড়েও গুঁড়িয়ে যায়নি আইফোন-৬। সেটি অক্ষত পেয়ে মুখে চওড়া হাসি আরনেস্টার। বলছিলেন, ‘আমার বিশ্বাস ছিল, মোবাইলটি জলাশয়ে না পড়লে সেটিকে উদ্ধার করতে পারব।’ তিনি আরো জানিয়েছেন, ফোনের কোনো কভারও ছিল না। সাধারণ সিলিকন কেস আর স্ক্রিন প্রোটেক্টর লাগানো ছিল। তা সত্ত্বেও যে ফোনটি রক্ষা পেয়েছে, তা চোখে না দেখলে বিশ্বাসই করতে পারবেন না কেউই।
অবশ্য এই প্রথম নয়। আইফোনের অবিশ্বাস্য গুণের পরিচয় মিলেছে আগেও। ২০১৯ সালে প্লেনে সফর করার সময় ফটোগ্রাফার হাউকার স্নোরাসনের হাত থেকে আইফোন-৬ পড়ে গিয়েছিল। বরফ ঢাকা পাহাড়ে পড়েছিল ১৩ মাস। ওই ফোন হাউকার ফিরে পেয়েছিলেন অক্ষত অবস্থায়। আরনেস্টা হোন বা স্নোরাসন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা শুনে অ্যাপেলের প্রযুক্তিকে কুর্ণিশ জানাতে পিছপা হননি নেটিজেনরা।
সূত্র : বর্তমান
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা