০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, empty
`

মেক্সিকোতে জ্বালানি পাইপলাইনে অগ্নিকাণ্ডে ৭৩ জনের মৃত্যু

-

মেক্সিকোর মধ্যাঞ্চলে একটি জ্বালানি পাইপ লাইনে বিস্ফোরণে অন্তত ৭৩ জন মারা গেছে। কয়েক শ’ লোক একটি জ্বালানি লাইন থেকে অবৈধভাবে গ্যাসোলিন সংগ্রহ করার সময় এই বিস্ফোরণ ঘটে। কর্মকর্তারা একথা জানান।

হিদালগো অঙ্গরাজ্যের গভর্নর ওমর ফায়াদ বলেন, আরো পাঁচটি লাশ উদ্ধারের পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

তিনি আরো বলেন, তাহুয়েলিলপানের কাছে এই বিস্ফোরণে ৭৪ জন গুরুতর আহত হয়েছে। খবর এএফপি’র।

মেক্সিকো সিটির উত্তরে অবস্থিত শহরটিতে ২০ হাজার লোকের বাস।

বাতাসে জ্বালানির কটু গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে।

ময়নাতদন্ত কর্মীরা ভ্যানে করে লাশগুলো লাশকাটা ঘটে নিয়ে যাওয়া শুরু করলে প্রায় ৩০ জন গ্রামবাসী তাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা চালায়। তাদের কাছে ময়নাদতন্তের ঘর অনেক ব্যয়বহুল। তাই আত্মীয়দের লাশ তাদের কাছে দিতে বলে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, লাশগুলো মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ডিফেন্স সেক্রেটারি লুইস ক্রেস্কেনসিও সান্ডোভাল সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার যখন কর্তৃপক্ষ জ্বালানি পাচারকারীদের চুরির কথা জানতে পারে তখন সেনাবাহিনীর প্রায় ২৫ সদস্যের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই এলাকা অবরোধ করে।

তবে সৈন্যরা আনুমানিক ৭শ’ বেসামরিক লোককে সামাল দিতে ব্যর্থ হয়। তারা পরিবারের সদস্যসহ তেল চুরি করতে আসে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বালতি ও ক্যানে করে গ্যাসোলিন চুরি করা হচ্ছে।

সান্ডোভাল বলেন, সশস্ত্র বাহিনী সংঘর্ষ এড়াতে পাইপলাইন থেকে দূরে সরে যায়। তখন বিস্ফোরণ ঘটে। প্রথমবার ছিদ্র করার প্রায় দুই ঘন্টা পর বিস্ফোরণ ঘটে।

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ অব্রাদোর শনিবার ভোরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এই বামপন্থী মাত্র দুই সপ্তাহ আগে ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন।

তিনি সৈন্যদের দোষ দেননি।

তিনি বলেন, ‘সৈন্যরা ঠিকই করেছে। বিপুল সংখ্যক মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ নয়।’

তিনি তেল চুরির ক্রমবর্ধমান এই সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।


আরো সংবাদ



premium cement