২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

নান্দনিক সাজে সাজছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান

-

বাংলাদেশের স্বাধীনতার গৌরবময় ইতিহাসের সাথে মিশে থাকা মুক্তিযুদ্ধের নানা স্মৃতিবহ স্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ২৬৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে এই প্রকল্পের কাজ। যদিও প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পটির কাজ ২০১৮ সালে শুরু হলেও নির্ধারিত সময়সীমায় প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় মেয়াদ বাড়িয়ে তা আগামী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তার আশপাশের এলাকা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মহাপরিকল্পনায় শিশুপার্ককে স্বাধীনতা স্তম্ভ প্রকল্পের আওতায় রেখে ‘ঢাকাস্থ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ’ শীর্ষক তৃতীয় পর্যায়ের মহাপরিকল্পনার অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর অংশ হিসেবে নকশাও অনুমোদন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও গণপূর্ত অধিদফতরকে কাজটি একসাথে সম্পন্ন করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়। প্রকল্পের কাজগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের স্থানে ভাস্কর্য নির্মাণ, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থান ও ইন্দিরা মঞ্চে ভাস্কর্য নির্মাণ। এ ছাড়া রয়েছে শিশুপার্ককে পুরোপুরি ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ। যুক্ত করা হবে নতুন নতুন রাইড ও জলাশয়। নির্মাণ করা হবে শিশুপার্ক থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়ার জন্য বিশেষ সংযোগ সড়ক। থাকবে ৫৬০টি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা ও সড়ক।
এ ছাড়া পরিকল্পনায় রয়েছে জনসভার জন্য একটি স্থায়ী মঞ্চ নির্মাণ, আধুনিক টয়লেট সুবিধাসহ খাবারের দোকান, মসজিদ, পাম্প হাউজ, শিশুপার্কের টিকিট কাউন্টার, ফুলের দোকান ও ছবির হাট নির্মাণ। শাহবাগ থেকেও দৃশ্যমান হবে পুরো এলাকা। ইতিহাসের নানা উপাদানে সাজাতে ইতোমধ্যে দু’টি পর্যায়ে প্রকল্পের বেশ কিছু কাজ শেষ হয়েছে বলেও জানা যায়। আগের পর্যায়ে গ্লাস টাওয়ার, মুক্তিযুদ্ধের ম্যুরাল, স্বাধীনতা জাদুঘর, শিখা চিরন্তনসহ বেশ কিছু স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।
গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো: আশরাফুল আলম জানিয়েছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থান ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পুরো প্রকল্পে গণপূর্ত অধিদফতরসহ তিনটি প্রতিষ্ঠান উন্নয়নকাজ করছে। এর মধ্যে গণপূর্ত অধিদফতরের অংশের কাজের বিষয়ে দক্ষ প্রকৌশলীরা নিয়োজিত আছেন। অগ্রাধিকার প্রকল্পের মতো এটিও একটি। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার জন্য চেষ্টা চলছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো: আনিসুর রহমান বলেন, ‘শিশুপার্কের কাজ এগিয়ে চলেছে। আধুনিক ও অত্যাধুনিক সব রাইড দিয়ে সাজানো হচ্ছে শিশুপার্ক।


আরো সংবাদ



premium cement
‘বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতার আহ্বান’ বেতন পেয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করলেন বেক্সিমকোর শ্রমিকরা কপ২৯ সম্মেলনে অনুদানভিত্তিক অর্থ বরাদ্দের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার শিক্ষা প্রশাসনে ফের রদবদল, ৪৬ কর্মকর্তাকে পদায়ন এখন পর্যন্ত বড় কোনো পদক্ষেপ নেই : রোহিঙ্গা বিষয়ক প্রতিনিধি স্পেন অবৈধ অভিবাসীদের বসবাস ও কাজের অনুমতি দেবে ঢাবিতে চলতি মাসেই চালু হচ্ছে শাটল বাস সার্ভিস আসামের করিমগঞ্জের নাম বদলে ‘শ্রীভূমি’ হয়ে গেল ডিসেম্বরে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ বিষয়ে বাংলাদেশ-ভারত বৈঠক পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত অন্তত ৩৮ বিচারের পর আ’লীগকে নির্বাচন করতে দেয়া হবে : ড. ইউনূস

সকল