২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
ডিএনসিসির বাজেট ঘোষণা

মশক নিধনে বরাদ্দ তিনগুণ বেশি

-

মশক নিধনে প্রায় তিনগুণ বরাদ্দ বাড়িয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য তিন হাজার ৫৭ কোটি ২৪ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। গত অর্থবছরে মশক নিধন খাতে বরাদ্দ ছিল ২১ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে সেটা হয় ১৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এবার বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছে ৪৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার গুলশান নগরভবনে ডিএনসিসি মেয়র মো: আতিকুল ইসলাম এ বাজেট ঘোষণা করেন। আতিকুল ইসলাম বলেন, বর্ষা মওসুমে প্রতি বছরই খোঁড়াখুঁড়ির অভিযোগ ওঠে। ইতোমধ্যে নির্দেশ দিয়েছি বর্ষা মওসুমে যেন কোনো খোঁড়াখুঁড়ি করা না হয়। আগামী বছর থেকে এই চিত্র আর দেখা যাবে না। একটি টেকসই ও নিরাপদ শহর বিনির্মাণে ডিএনসিসি বদ্ধপরিকর। নিরাপদ সড়ক, অগ্নিনিরাপত্তা, জলাবদ্ধতা নিরসন, মশক নিয়ন্ত্রণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে ডিএনসিসি নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ ছাড়া আধুনিক এলইডি বাতি স্থাপন, দ্বিগুণ মৌজায় হাতিরঝিলের চেয়ে আধুনিক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন, নতুন ওয়ার্ডগুলোর আধুনিকায়ন, মিরপুর আনসার ক্যাম্প থেকে রজনীগন্ধা মার্কেট হয়ে মাটিকাটা পর্যন্ত সংসযোগ সড়ক নির্মাণসহ বিভিন্ন ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি ডিএনসিসি এলাকাকে আধুনিক শহরে পরিণত করার। এ জন্য নগরবাসীর সহযোগিতা ও গণমাধ্যমের গঠনমূলক সমালোচনা পেলে কাজটা আরো সহজ হয়ে যাবে। মিরপুরের একটি খাল দখলমুক্ত করার অভিজ্ঞতার উল্লেখ করে তিনি বলেন, খালের ভেতরে ভাঙা ফ্রিজ, টিভি, সোফা, নারকেলের ছোবড়ার জাজিমসহ অনেক জিনিস পাওয়া গেছে। এগুলো তো খালে নগরবাসীই ফেলেছেন।
সম্প্রতি বোর্ড মিটিংয়ের মাধ্যমে বাজেটটি অনুমোদন করা হয়। এ সময় ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র মো. জামাল মোস্তফা, আলেয়া সারোয়ার ডেইজি, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়াসহ শীর্ষ কর্মকর্তা ও কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন। মেয়র বলেন, ডিএনসিসিতে যুক্ত হওয়া নতুন ১৮টি ওয়ার্ড ও অনগ্রসর এলাকাকে বেশি গুরুত্ব দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি মশার দৌরাত্ম্য যাতে আর বাড়তে না পারে, সে জন্য বিভিন্নমুখী পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে তার বাস্তবায়নও শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতেও মশক নিধনে আরো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে বাজেটে নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে এক হাজার ১০৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সরকারি অনুদান ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প থেকে আয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৭১৪ কোটি টাকা ৬৪ লাখ টাকা। এ ছাড়া আরো কিছু খাত থেকে আয় ধরা হয়েছে। মশক নিয়ন্ত্রণ খাতে ৪৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দের মধ্যে ৩০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে মশার ওষুধ বাবদ। এ ছাড়া কচুরিপানা ও আগাছা পরিষ্কার বাবদ দুই কোটি ৫০ লাখ, মশক নিধন যন্ত্রপাতি ও পরিবহন খাতে তিন কোটি ৮০ লাখ, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে বিশেষ কর্মসূচি বাবদ এক কোটি ও আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করতে ধরা হয়েছে ১২ কোটি টাকা। বাজেটে সর্বোচ্চ ব্যয় ধরা হয়েছে উন্নয়ন খাতে। নিজস্ব উৎস ও সরকারি অর্থে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৭১ কোটি টাকা। সরকারি ও বৈদেশিক সাহায্য থেকে ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা।


আরো সংবাদ



premium cement