ঈদের ছুটির আমেজ এখনো কাটেনি
- ১১ জুন ২০১৯, ০০:০০
ঈদের ছুটির পর গত রোববার সরকারি অফিস খুললেও এখনো ছুটির আমেজ কাটেনি। গতকাল শহরে যানবাহনের সংখ্যাও ছিল কম। ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে মন্ত্রী-সচিব থেকে শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একে অপরের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেই অনেকটা সময় কাটিয়েছেন। ঢাকার স্বাভাবিক চিত্র ফিরে আসতে আরো কয়েকদিন লাগবে।
গতকাল ঢাকামুখী বাস, ট্রেন ও লঞ্চে ভিড় ছিল বেশি। পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপদে ঢাকায় ফিরতে পেরে মানুষের মধ্যে ছিল স্বস্তি। মহাসড়কে যানজট, ভোগান্তি না থাকায় চোখেমুখে ছিল শাšিপূর্ণ ভ্রমণের আনন্দ। তবে ঢাকা পর্যন্ত নিরিবিলি পৌঁছালেও টার্মিনাল থেকে ঘরে পৌঁছাতে ভোগান্তিতে পড়েন অনেকেই।
বেশির ভাগ মানুষের সাথে পরিবারের সদস্য এবং ব্যাগ-লাগেজ থাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাই ছিল তাদের ভরসা। কিন্তু অটোরিকশাচালকেরা মিটারের তোয়াক্কা না করে কয়েক গুণ বেশি ভাড়ায় বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে যাত্রীদের বাধ্য করেন। গতকাল মহাসড়কে যানজট না থাকায় বাসগুলো সময়মতো পৌঁছায়। ট্রেনগুলো নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা দেরিতে কমলাপুর পৌঁছায়। টেকনিক্যাল মোড়ের বাস কাউন্টারে বগুড়া থেকে আসা মকবুল হোসেন বলেন, সাড়ে চার ঘণ্টায় চলে এলাম। এত কম সময়ে আসা যাবে, ভাবতেও পারিনি। ছোট ছেলেমেয়ে নিয়ে ভোগান্তি ছাড়া আসতে পেরেছি, তাতেই খুশি।
নদীপথে ফেরা লঞ্চযাত্রীরা সদরঘাট টার্মিনালে এসে দুর্ভোগে পড়েন। লঞ্চের বেশির ভাগ যাত্রী হকার, কুলিদের দৌরাত্ম্য এবং যানবাহন না পেয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। যানবাহনের সঙ্কট থাকায় বাড়তি ভাড়া দিয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরতে হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চল থেকে আসা যাত্রীরা লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন।