ভিকারুননিসায় অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়ম
- আমার ঢাকা প্রতিবেদক
- ০৭ মে ২০১৯, ০০:০০
রাজধানীর খ্যাতনামা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় সব প্রার্থী ফেল করলেও নিয়োগ কমিটি একজনকে নিয়োগের সুপারিশ করেছে। অধ্যক্ষ নিয়োগ কমিটি তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্রে ৩০ নম্বরের ১০টি প্রশ্নের মধ্যে ৭টি প্রশ্ন ইংরেজি ভাষায় উত্তর দেয়ার জন্য এবং ৩টি বাংলা ভাষায় উত্তর দেয়ার জন্য নির্ধারণ করেন। অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় ইংরেজি প্রশ্নের জন্য ১৮ এবং বাংলা প্রশ্নের জন্য ১২ নম্বর নির্দিষ্ট ছিল। গত ৩ মে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভিকারুননিসার অভিভাবকরা এসব অভিযোগ করেন। এর আগে নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় গত ২৮ এপ্রিল ভিকারুননিসায় অধ্যক্ষ নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এমনকি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগে গুরুতর অনিয়ম, প্রতিষ্ঠানটিতে ভর্তিবাণিজ্যসহ নানা দুর্নীতির তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ কমিটির প্রধান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (অডিট ও আইন) আহমদ শামীম আল রাজী। কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক হারুন অর রশীদ ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো: আনোয়ারুল আউয়াল খান।
তদন্ত কমিটি সূত্র জানায়, অধ্যক্ষ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি থেকে শুরু করে সব আবেদন, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার খাতাপত্র, নম্বরপত্র, কমিটির রেজুলেশনসহ সব নথি প্রস্তুত রাখতে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া নিয়োগ কমিটির সব সদস্যকে উপস্থিত থাকতেও বলা হয়েছে। ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দুই বছরের মেয়াদ গত ৩ মে শেষ হয়েছে।
গভর্নিং বডির সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম আশরাফ তালুকদার জানিয়েছেন, তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে গভর্নিং বডির সভাপতিকে তদন্তকালে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। গভর্নিং বডির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান পদে কেউ নেই। নিয়োগ কমিটির কার্যক্রম চলাকালে যেহেতু তিনি সভাপতি ছিলেন, তাই সততা-স্বচ্ছতার জন্য তিনি তদন্তকালে হাজির থাকবেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, গভর্নিং বডির সদস্যরা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে গত ২৭ এপ্রিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুমানা শাহীন শেফাকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়ার সব প্রক্রিয়া শেষ করেন। অবৈধভাবে অধ্যক্ষ নিয়োগে বিতর্কিত পরিচালনা কমিটির এজেন্ডা বাস্তবায়নে জড়িত থাকার দায়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) মো. শাহেদুল খবির চৌধুরীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এই অভিভাবকরা।