সাত দেশের ১০ শিল্পীর চিত্র প্রদর্শনী
- ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
সাত দেশের ১০ শিল্পীর প্রতিবাদী শিল্পকর্ম নিয়ে পুরান ঢাকার লালবাগে চলছে সপ্তাহব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী ‘ডিস্টোপিয়া।’ গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে এই সপ্তাহব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী। এ্যাপিফানিয়া ভিজ্যুয়ালস আয়োজিত ‘আর্টিভিস্ট ডিসেম্বর-২০১৮’ শীর্ষক প্রদর্শনীর দ্বিতীয় পর্ব এটি। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস এবং এ্যাপিফানিয়ার দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন করা হয় এই প্রদর্শনী। ‘ইন্টারন্যাশনাল আর্টিভিজম প্যারেড বাংলাদেশ’-এর ব্যানারে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনীর দ্বিতীয় পর্বের কিউরেটরের দায়িত্ব পালন করছেন শিল্পী এবং শিল্পসমালোচক জাফরিন গুলশান। তার সাথে সহকারী রয়েছেন শিল্পী শেখ ফয়জুর রহমান।
বিশ্ব রাজনীতির স্বরূপ এবং বাস্তবতা নিয়ে আয়োজিত এ প্রদর্শনীর শিল্পীরা হলেনÑ অনুপম দেবাশীষ (বাংলাদেশ), আলজান্দ্রো মিগাল ট্রিলেভা সালাস (ভেনিজুয়েলা), আলেকজান্দ্রা হলওয়ানিয়া (পোল্যান্ড), আরবার্টো কোর্টারিয়া (চিলি), বার্তালোম ফেরান্দো (স্পেন), কোডিও ব্রেইয়ার (আর্জেন্টিনা), ফেনিয়া কোৎসোপোলাও (গ্রিস), শেখ ফয়জুর রহমান (বাংলাদেশ), শাওন বর্ষা (বাংলাদেশ), ইরেনে পৌলিয়াসি (গ্রিস)।
বাংলাদেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট মাথায় রেখে বিশ্বের আরো ছয়টি দেশের শিল্পীদের কাজ পাশাপাশি রেখে একটা তুলনামূলক রাজনৈতিক পাঠ তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে প্রদর্শনীতে।
আর্টিভিস্ট ডিসেম্বর-২০১৮ আয়োজনের দ্বিতীয় পর্ব ‘ডিস্টোপিয়া’ চলবে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সময় প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা। ভেনু : ৭০/১/এ, হরনাথ ঘোষ রোড, লালবাগ।
এ্যাপিফানিয়া ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি স্বাধীন এবং নিজ অর্থায়নে পরিচালিত অবাণিজ্যিক সংগঠন। ২০১৮ সালে রাজধানীর ওল্ড টাউনের লালবাগে ‘এ্যাপিফানিয়া ভিস্যুয়ালস’ নামে একটি স্বাধীন স্পেসের যাত্রা শুরু করে সংগঠনটি। এটিই ওল্ড ঢাকাকেন্দ্রিক প্রথম কোনো গ্যালারি ও রেসিডেন্সি। যাত্রার শুরু থেকেই বিভিন্ন সামাজিক ইস্যু নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে এ্যাপিফানিয়া। বর্তমানে স্বাধীন চলচ্চিত্র নির্মাণ ও নিয়মিত চিত্র প্রদর্শনীর পাশাপাশি শতাধিক যৌনকর্মীর সন্তান ও রূপান্তরকামীদের নিয়ে কাজ করছে সংগঠনটি। একই সাথে চলচ্চিত্র নির্মাণ ও প্রদর্শনী, শিল্পকলা প্রদর্শনী, আর্ট ও ফিল্ম রিলেটেড ওয়ার্কশপ, ফটোগ্রাফি, পারফরম্যান্স আর্ট, মিউজিক, ড্যান্স, থিয়েটার ও আর্টিস্ট রেসিডেন্সি নিয়ে কাজ করে এই গ্যালারি। বিভিন্ন শিল্পীর চিত্র প্রদর্শনের পাশাপাশি এই স্পেসটি ব্যবহার করা হয় নিয়মিত মহড়া, চলচ্চিত্র প্রদর্শন, দৃশ্য ধারণ এবং বিপদগ্রস্ত শিল্পীদের উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে।