২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বুরকিনা ফাসোতে মসজিদে হামলার বহু মুসল্লি নিহত

- ছবি : আল-জাজিরা

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে মসজিদে নামাজ পড়ার সময় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় বহু মুসল্লি নিহত হয়েছেন। একই দিনে ক্যাথলিকদের ওপরও হামলা চালানো হয়েছে।

মঙ্গলবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার বুরকিনা ফাসোর একটি নিরাপত্তা সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, ‘রোববার ভোর ৫টার দিকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা নাতিয়াবোনির একটি মসজিদে হামলা চালায়। এ হামলায় কয়েক ডজন লোক নিহত হয়।’

নাতিয়াবোনি হলো একটি গ্রামীণ সম্প্রদায় যা বুরকিনা ফাসোর পূর্বাঞ্চলের প্রধান শহর ফাদা এন’গৌরমা থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার (৩৭ মাইল) দক্ষিণে। এই এলাকাটি ২০১৮ সালের পর থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর দ্বারা নিয়মিত আক্রমণ শিকার হয়েছে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা এএফপিকে বলেছেন, ‘নিহতরা সবাই মুসলিম, তাদের বেশিরভাগই পুরুষ।’

অন্য এক বাসিন্দা জানান, ‘সন্ত্রাসীরা ভোরে শহরে প্রবেশ করে। তারা মসজিদটি ঘিরে ফেলে এবং মুসল্লিদের ওপর গুলি চালায়, যারা সেখানে ফজরের নামাজের জন্য জড়ো হয়েছিলেন।’

ওই বাসিন্দা আরো জানান, ‘একজন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় নেতাসহ তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গুলি করা হয়েছে।’

সূত্রটি আরো জানান, ‘ডিফেন্স অব ফাদারল্যান্ড (ভিডিপি) নামে একটি বেসামরিক বাহিনী সামরিক বাহিনীকে সহায়তা করে থাকে। এই বাহিনীর সৈন্য এবং স্বেচ্ছাসেবকদের ওপরও হামলা করা হয়েছে।’

এদিকে এদিন বুরকিনা ফাসোর একটি গির্জায় হামলায় ১৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো দু’জন। রোববার দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

মালির সীমান্তের কাছে অবস্থিত ওদালান প্রদেশের এসসাকানে গ্রামে রোববারের উপাসনার সময় ওই ক্যাথলিক গির্জায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে কিছু বিবরণ প্রকাশ করা হয়েছে।

একজন চার্চ কর্মকর্তা ইঙ্গিত করেছেন, বন্দুকধারীরা সন্দেহভাজন গোষ্ঠীর সদস্য। অবশ্য পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটির রাজধানী ওয়াগাদুগুর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় ডায়োসিসের প্রধান অ্যাবট জিন-পিয়েরে সোয়াদোগোর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার পর ১২ জন তাৎক্ষণিকভাবে মারা গেছে এবং অন্য তিনজন হাসপাতালে মারা গেছে।

আফ্রিকার সবচেয়ে খারাপ অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি সঙ্কটগুলোর মধ্যে বুরকিনা ফাসো একটি। দেশটির অভ্যন্তরে ২০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর ক্রমবর্ধমান হামলা মোকাবেলায় রীতিমতো সংগ্রাম করছে বুরকিনা ফাসো।
সূত্র : আল-জাজিরা ও ডেইলি সাবাহ


আরো সংবাদ



premium cement
গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের কঠোরবিচার করতে হবে : অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ আইনজীবীর বিরুদ্ধে ‘ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধ’ ডেইলি স্টারের সামনে নামাজ আদায় ও বিক্ষোভ ত্রিপুরায় ১২ বাংলাদেশী গ্রেফতার রাবির আরবি বিভাগের নতুন সভাপতি অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম বর্তমান সরকারের সাথে উগ্রবাদীদের একটা অংশ আছে চট্টগ্রাম মহসিন কলেজে দুই ছাত্রলীগারকে ধরে পুলিশে দিল শিক্ষার্থীরা তথ্য পরিচালক মনিরুজ্জামানের মায়ের ইন্তেকাল সাংবাদিক জিলানী মিলটনের মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী আজ তুরাগে মা ও শিশুর শরীরে এসিড নিক্ষেপ বাংলা লোকবাদ্যযন্ত্রের প্রদর্শনী শুরু সোমবার

সকল