১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`

ব্রিকস সম্মেলনে গেলেই গ্রেফতার পুতিন!

রুশ প্রসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন - ছবি : সংগৃহীত

ইউক্রেন যুদ্ধে বড়সড় কূটনৈতিক ধাক্কা খেল রাশিয়া। এবার দক্ষিণ আফ্রিকায় জোরালো হচ্ছে রুশ প্রসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের গ্রেফতারের দাবি। দেশটির প্রধান বিরোধী দলের সাফ কথা, ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নিতে গেলে পুতিনকে গ্রেফতার করতে হবে।

ব্রাজিল, রাশিয়া, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতকে নিয়ে গঠিত ব্রিকস গোষ্ঠী। এ বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জোটের সম্মেলন। চলবে ২২ থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত।

প্রথামাফিক, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পুতিনকে। এতেই ঘনিয়েছে বিতর্ক।

সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, পুতিনের প্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় বিরোধী দল ‘ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স’। তাদের সাফ কথা, ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নিতে এলে পুতিনকে গ্রেফতার করতে হবে। গত মঙ্গলবার দলটি জানিয়েছে যে সরকার যাতে রুশ প্রেসিডেন্টকে আটক করে তা নিশ্চিত করতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তারা।

উল্লেখ্য, ব্রাজিল, রাশিয়া, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারতকে নিয়ে গঠিত ব্রিকস গোষ্ঠী।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে, ইউক্রেন যুদ্ধে শিশু অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই মামলায় গত মার্চ মাসে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। তখন থেকেই প্রশ্ন উঠেছে, আসলে কি গ্রেফতার করা যাবে পুতিনকে?

বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়া ও ইউক্রেন কোনো দেশই আইসিসির সদস্য নয়। তবে আইসিসির অন্তর্ভুক্ত ১২৪টি দেশের যেকোনো দেশে পুতিন গেলেই তিনি গ্রেফতার হতে পারেন। খাতায় কলমে তেমন সম্ভাবনা নিশ্চয়ই রয়েছে। এবং দক্ষিণ আফ্রিকাও আইসিসি সদস্য। কিন্তু আইসিসির নিজস্ব কোনো পুলিশ বাহিনী না থাকায় পুতিনকে গ্রেফতার করতে হবে সেই দেশগুলোর পুলিশকেই। যা সচরাচর দেখা যায় না। পুতিন একটি রাষ্ট্রের প্রধান। কূটনৈতিক দিক দিয়ে দেখলে তিনি কোনো দেশে এলে তাকে সেই দেশের পুলিশের পক্ষে গ্রেফতার করা তাই কার্যত অসম্ভব।
সূত্র : আনন্দবাজার


আরো সংবাদ



premium cement