কলেরা প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে লড়ছে ক্যামেরুন, আক্রান্ত কমপক্ষে ৬ হাজার

কলেরা প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে লড়াই করছে ক্যামেরুন। ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ হাজার মানুষ কলেরা জীবাণুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে কমপক্ষে ১০০ জন মারা গেছেন।

ক্যামেরুনের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, হাসপাতালে দিন দিন কলেরা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

গত সপ্তাহে শুধুমাত্র সমুদ্র তীরবর্তী শহর লিম্বেতেই ৩০০ জন রোগীর মধ্যে ২০০ জনকে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

দেশটির জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, কলেরায় আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীই হাসপাতালে যান না। তারা কেবল স্থানীয় প্রাচীন চিকিৎসা গ্রহণ করেন এবং বাড়িতেই মারা যান। তবে, মৃত্যু সংক্রান্ত কোনো সরকারি পরিসংখ্যান দেয়া হয়নি।

কলেরা রোগীদের দ্রুত নিকটে হাসপাতালে পৌঁছে দিতে ঐতিহ্যবাহী বদ্যি-কবিরাজদের আহ্বান জানাচ্ছেন দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা

ক্যামেরুনের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহামারী ও অতিমারী বিষয়ক পরিচালক লিন্ডা এসসো জানিয়েছেন, কলেরা সংক্রমণ ছড়িয়েছে ৪০ শতাংশেরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ শহরে। এর মধ্যে রয়েছে রাজধানী ইয়াউন্ডে, অর্থনৈতিক রাজধানী ডুয়ালা এবং বুয়েয়া, লিম্বে ও বাফৌসামের মতো পশ্চিমের বাণিজ্যিক শহরগুলো।

ক্যামেরুনের প্রেসিডেন্ট পল বিইয়ে এ সপ্তাহে স্বাস্থ্য এবং পানি বিষয়ক মন্ত্রীদের কলেরা আক্রান্ত এলাকায় পাঠিয়েছেন পরিস্থিতি মূল্যায়নের জন্য।

ক্যামেরুনের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রী মানাউদা মালাচি বলেছেন, ডুয়ালার নিউ বেল কারাগার কলেরা সংক্রমণের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে।

তিনি বলেছেন, কারাগারে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি করা হয়েছে। তবে, ৬ হাজারে বেশি বন্দীর মধ্যে কতজন কলেরা সংক্রমিত বা কয়জন মারা গেছে, সে সম্পর্কে তিনি কিছু বলেননি।

ক্যামেরুনে ঘন ঘন কলেরা সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি ছিল ২০১১ সালে। ওই বছর ২৩ হাজারেরও বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছিল এবং মারা গিয়েছিল আট শ’রও বেশি মানুষ।