আফ্রিকার সাহেল অঞ্চল চরম খাদ্য সঙ্কটের মুখোমুখি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০:৫১
আফ্রিকার সাহেল অঞ্চল চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি। এর ফলে সেখানকার মানুষ নিজেদের ক্ষুধা নিবারণ করতেও মারাত্মকভাবে অক্ষম হয়ে পড়বে।
বিশ্বখাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লিউএফপি) সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ওই অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ মানুষ খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। ১০ লাখেরও বেশি মানুষ সেখানে অনাহারের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।
ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, ওই অঞ্চলে সংঘাত, কোভিড-১৯ মহামারী ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেড় কোটিরও বেশি মানুষ তীব্র অনাহারের রয়েছে।
ডাব্লিউএফপির মুখপাত্র টমসন ফিরি বলেছেন, এই সংখ্যার ভেতরে রয়েছেন ১১ লাখ মানুষ যারা অনাহারে দিনাতিপাত করছেন। গত তিন বছরে এই সংখ্যা প্রায় ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, এই অঞ্চলে অনেক প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি খাদ্য ও অন্যান্য পণ্যের ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির ফলে সেখানে মৌলিক খাবারগুলোও লাখ লাখ মানুষের নাগালের বাইরে।
ফিরি বলেন, উগ্রবাদি দলগুলো লোকজনদেরকে তাদের বাড়িঘর থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছে ফলে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৪০০ শতাংশ। মানুষ খরার কারণে অনাহারে রয়েছে এবং কোভিড মহামারীর কারণে নানা অর্থনৈতিক সমস্যায় নিদারুণ হতাশায় ভুগছে।
ডাব্লিউএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে সম্প্রতি বুরকিনা ফাসো থেকে বেনিনে এই সংঘাত ছড়িয়ে পড়ায় তা সমগ্র অঞ্চলকে আরো অস্থিতিশীল করে তুলবে এবং উন্নয়নমূলক অর্জনগুলোকে ধ্বংস করে দেবে।
সংস্থাটি বুরকিনা ফাসো, চাদ, মালি, মৌরিতানিয়া এবং নিজারের ৯৩ লাখ মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করছে। ফিরি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, বাজেটের সীমাবদ্ধতার কারণে লাখ লাখ মানুষের জন্য এই সহায়তা হুমকির মুখে পড়ছে।
তিনি বলেন যদিও চাহিদাগুলো আকাশচুম্বী, তবে এই দুস্থদের সাহায্যগুলো একেবারে তলানিতে এসে পৌঁছেছে।
ফিরি বলেন, এই মুহূর্তে নিজারে এমন ঘটনাই ঘটছে। তিনি বলেছেন ওই দেশে তহবিলের ঘাটতির জন্য ডাব্লিউএফপি ২৪ লাখ মানুষের জন্য খাদ্য রেশন অর্ধেকে নামিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, আরো অর্থ না পাওয়া পর্যন্ত অন্যান্য দেশেও একই ধরনের কাটছাঁট করতে হতে পারে।
ডাব্লিউএফপি আগামী ছয় মাস জীবন রক্ষাকারী মানবিক কার্যক্রম পরিচালানার জন্য ৪৭ কোটি ডলারের সাহায্যর আবেদন করছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা