তিউনিসিয়ার জুডিশিয়াল কাউন্সিল ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন প্রেসিডেন্টের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫:৩৪, আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫:৩৬
তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ দেশটিতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা তত্ত্বাবধানকারী সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। এর বদলে কাউন্সিলটির নিয়ামক আইন পরিবর্তন এবং সাময়িক এক কর্তৃপক্ষ নিয়োগ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
বুধবার আইনমন্ত্রী লায়লা জাফাল এক টেলিভিশন ভাষণে এই কথা জানান।
এর আগে রোববার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ভেঙে দেয়ার পর তিউনিসিয়ার বিচারকরা দুই দিনের কর্মবিরতি শুরু করেন। বিচারকদের কর্মবিরতির জেরে প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে নতুন করে এই ঘোষণা এলো।
প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের সদস্যদের পক্ষপাতিত্ব ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করেন।
কায়েস সাইদ অভিযোগ করেন, কাউন্সিলের সদস্যরা ‘কোটি কোটি’ টাকা ঘুষ নিচ্ছেন এবং রাজনৈতিক স্পর্শকাতর মামলার তদন্তগুলোতে দেরি করছেন।
পরে সোমবার তিউনিসীয় পুলিশ সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ভবন বন্ধ করে দেয়।
২০১৬ সালে তিউনিসিয়ায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং তাদের পেশাগত প্রসার নিশ্চিত করার জন্য এই সংস্থাটি গঠন করা হয়েছিলো।
সংস্থাটি ভেঙে দেয়ার জেরে তিউনিসিয়ায় বিচারকরা বুধবার ও বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন।
গত বছর ২৫ জুলাই করোনা পরিস্থিতিতে তিউনিসিয়ায় সৃষ্ট দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় জেরে আকস্মিক সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পর রাতে প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ দুই বছর আগে নির্বাচিত পার্লামেন্ট ৩০ দিনের জন্য স্থগিত, প্রধানমন্ত্রী হিশাম মাশিশিকে বরখাস্ত ও দেশের নির্বাহী ক্ষমতা নিজের হাতে নেয়ার ঘোষণা দিয়ে আদেশ জারি করেন।
পরে ২৩ আগস্ট 'রাষ্ট্রের জন্য হুমকি' বিবেচনায় পরবর্তী আদেশ দেয়া না পর্যন্ত পার্লামেন্ট স্থগিত রাখার আদেশ দেন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ।
অপরদিকে ২২ সেপ্টেম্বর জারি করা এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধানের কিছু অংশ স্থগিত করার মাধ্যমে নিজের ক্ষমতা জোরদার করেন সাইদ।
তিউনিসিয়ার রাজনৈতিক দলগুলো এই আদেশকে 'সাংবিধানিক অভ্যুত্থান' বলে অভিযোগ করে আসছে।
২০১১ সালে আরব বসন্তের সূচনাকারী দেশ তিউনিসিয়ায় স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জেরে ২৪ বছর দেশটি শাসন করা একনায়ক জাইন আল আবেদীন বিন আলী ক্ষমতাচ্যুৎ হন। এর পর থেকেই গত দশ বছর ভঙ্গুর অবস্থা সত্ত্বেও আরব বিশ্বের একমাত্র গণতান্ত্রিক শাসন উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে চালু ছিলো।
সূত্র : মিডল ইস্ট আই
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা