২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আলজেরিয়ার কেচাওয়া মসজিদ : ফরাসি নিপীড়নের সাক্ষী

আলজেরিয়ার কেচাওয়া মসজিদ - ছবি : সংগৃহীত

উসমানীয় শাসনামলে নির্মিত আলজেরিয়ার কেচাওয়া মসজিদ শুধু একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা নয় এটা দেশটিতে ফ্রান্সের অপশাসনের প্রতীকও বটে। আলজেরিয়ায় ফ্রান্সের উপনিবেশিক শাসনের সময় হওয়া বিভিন্ন অত্যাচার ও নিপীড়নের সাক্ষী হলো এ মসজিদ।

১১ অক্টোবর তারিখে স্থানীয় গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আব্দেলমাদজিদ তেবউনে একটি সরকারি হিসাব অনুাসারে বলেন, ১৮৩০-১৯৬২ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সের উপনিবেশিক শাসনামলে ওই মসজিদে নামাজে আসা চার হাজার ব্যক্তিকে হত্যা করেছে দেশটি। ফ্রান্স ১৩২ বছর আমাদের (আলজেরিয়াকে) শাসন করেছে। এ উপনিবেশিক শাসনামলে ফ্রান্স এমন সব জঘন্য অপরাধ করেছে যা তাদের মিষ্টি কথার মাধ্যমে মুছে ফেলা যাবে না। যেমন আলজেরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জাচা এলাকার অনেক জাতি ও পরিবারকে ধ্বংস করেছে তারা। তারা বাচ্চাদেরও ছাড় দেয়নি।

তিনি আরো বলেন, আলজেরিয়ার কেচাওয়া মসজিদকে কামান দিয়ে ঘেরাও করে এর মধ্যে নামাজ আদায় করতে আসা চার হাজার ব্যক্তিকে শহীদ করেছে ফ্রান্স।

১৫২০ সালে আলজেরিয়ার কেচাওয়া মসজিদ নির্মাণ করেন উসমানীয় নৌবাহিনীর প্রধান খায়ের আল দীন (হায়রেদ্দিন) বারবারোসা। উসমানীয় আমলে তিনি ছিলেন আলজেরিয়ার শাসক। আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সের বিখ্যাত কাসবা আবাসিক এলাকায় এ মসজিদটি অবস্থিত।

আলজেরিয়ার স্বাধীনতা ইতিহাস অনুসারে, ১৮৩২ সালে আলজেরিয়ায় ফ্রান্সের উপনিবেশিক শাসক ডিউক ডি রোভিগো দেশটির কেচাওয়া মসজিদকে খ্রিস্টান চার্চে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নেন। তখন এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আলজিয়ার্স শহরের বাসিন্দারা এ মসজিদে জড়ো হন। তখন নামাজ আদায় করতে এবং প্রতিবাদ করতে আসা অসংখ্য মুসলমানসহ এ মসজিদকে ধ্বংস করে দেন উপনিবেশিক শাসক ডিউক ডি রোভিগো। এ সময় তিনি মুসলমানদের বিভিন্ন পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ ও কুরআন পুড়িয়ে দেন।


কেচাওয়া মসজিদ ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত। এটা হলো আলজেরিয়ার স্বাধীনতার প্রতীক। আলজেরিয়ার মানুষ এ মসজিদকে কেন্দ্র করেই প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম চালায়। পরে ফ্রান্সের উপনিবেশিক শাসকরা এ মসজিদটিকে খ্রিস্টান চার্চে পরিণত করে আর এখানেই থাকতেন আলজেরিয়ার প্রধান খ্রিস্টান পাদ্রি।

ওই মসজিদ ধ্বংসের পর ওই স্থানে যে বিশাল খ্রিস্টান চার্চ তৈরি করা হয়েছিল তা চলমান ছিল ১৯৬২ সাল পর্যন্ত। পরে ১৯৬২ সালে আলজেরিয়া স্বাধীন হওয়ার পর ওই খ্রিস্টান চার্চটিকে আবার মসজিদে পরিণত করা হয়।

২০১৮ সালের এপ্রিলে আলজেরিয়ার কেচাওয়া মসজিদকে তার আগের উসমানীয় নকশায় পুনর্নির্মাণ করে তুর্কি সরকার। এ নির্মাণ কাজে আলজেরিয়া ও তুরস্কের গবেষক ও ঐতিহাসিকরা সাহায্য করেন।

সূত্র : ইয়েনি শাফাক


আরো সংবাদ



premium cement
বন্দরে অহিংস গণঅভ্যুত্থান কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে বাস আটক যাত্রাবাড়ীতে সংঘর্ষে ৩ শিক্ষার্থী নিহতের দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের রাস্তায় নয়, ন্যায্য দাবি নিয়ে আমার কাছে এসো : শিক্ষা উপদেষ্টা ৪০ বছর পর শ্মশানের জমি বুঝে পেল হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রধান বিচারপতি ঘোষিত বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রকাশ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ : যাত্রাবাড়ী-ডেমরায় বিজিবি মোতায়েন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলাকারী নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার ঢাকা থেকে খুলনা পর্যন্ত পরীক্ষামূলক ট্রেন চালু অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে বিএনপির কোনো মতপার্থক্য নেই : তারেক রহমান পার্থে ইতিহাস গড়ল ভারত, পাত্তাই পায়নি অস্ট্রেলিয়া দেশের শ্রমখাতে নতুন করে অসন্তোষ তৈরি হতে পারে : শ্রম সচিব

সকল