২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

তিউনিসিয়ায় পার্লামেন্ট সক্রিয় আছে : গানুশি

রশিদ গানুশি - ছবি : সংগৃহীত

তিউনিসিয়ার স্থগিত পার্লামেন্টের স্পিকার রশিদ গানুশি বলেছেন, দেশটির পার্লামেন্ট সক্রিয় রয়েছে। পার্লামেন্ট সদস্যদের উচিত হবে তাদের স্বাভাবিক কাজ অব্যাহত রাখার।

শুক্রবার এক টুইট বার্তায় এই ঘোষণা করেন তিনি। এর মাধ্যমে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদের পার্লামেন্ট স্থগিতের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করলেন পার্লামেন্ট স্পিকার ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আননাহদার প্রধান গানুশি।

এর আগে বুধবার প্রধানমন্ত্রীকে বহিস্কার ও পার্লামেন্ট স্থগিতের দুই মাস পর নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেন কায়েস সাইদ। ভূতত্ত্ববিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক নাজলা বুউদেন রমাদানকে তিউনিসিয়ার প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট সাইদ।

এদিকে পার্লামেন্ট ভবনে সদস্যদের প্রবেশে বাধা দিতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন রাখা হয়েছে। তিউনিসের লে বারদো ডিস্ট্রিক্টের পার্লামেন্ট ভবনে পথচারী ও গাড়ি প্রবেশের সবধরনের পথ রোধ করে রাখা হয়েছে।

এদিকে রোববার রাজধানী তিউনিসে প্রেসিডেন্ট সাইদের সমর্থক ও বিরোধীরা সমাবেশের পরিকল্পনা করছেন।

গত ২৫ জুলাই করোনা পরিস্থিতিতে তিউনিসিয়ায় সৃষ্ট দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় জেরে আকস্মিক সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পর রাতে প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ দুই বছর আগে নির্বাচিত পার্লামেন্ট ৩০ দিনের জন্য স্থগিত, প্রধানমন্ত্রী হিশাম মাশিশিকে বরখাস্ত ও দেশের নির্বাহী ক্ষমতা নিজের হাতে নেয়ার ঘোষণা দিয়ে আদেশ জারি করেন।

পরে ২৩ আগস্ট 'রাষ্ট্রের জন্য হুমকি' বিবেচনায় পরবর্তী আদেশ দেয়া না পর্যন্ত পার্লামেন্ট স্থগিত রাখার আদেশ দেন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ।

অপরদিকে ২২ সেপ্টেম্বর জারি করা এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধানের কিছু অংশ স্থগিত করার মাধ্যমে নিজের ক্ষমতা জোরদার করেন সাইদ।

তিউনিসিয়ার রাজনৈতিক দলগুলো এই আদেশকে 'সাংবিধানিক অভ্যুত্থান' বলে অভিযোগ করে আসছে।

২৬ জুলাই দেশটির বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আননাহদার প্রধান ও পার্লামেন্ট স্পিকার রশিদ গানুশিসহ দলীয় পার্লামেন্ট সদস্য ও সমর্থকরা রাজধানী তিউনিসে পার্লামেন্টের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। অপরদিকে প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদের সমর্থকরাও পার্লামেন্টের সামনে জড়ো হন। এই সময় দুই পক্ষের মধ্যে পরস্পরের প্রতি পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ। একইসাথে তিনজনের বেশি লোককে প্রকাশ্যে জমায়েত হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিলো।

এছাড়া বেশ কিছু মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করেন কায়েস সাইদ। এছাড়া বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে দেশটিতে গৃহবন্দী করা হয়েছে।

তিউনিসিয়ার রাজনৈতিক দলগুলো প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের এসব পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে দেশটিতে স্বৈরাচারী শাসন ফিরে আসার শঙ্কায় আছেন।

২০১১ সালে আরব বসন্তের সূচনাকারী দেশ তিউনিসিয়ায় স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের জেরে ২৪ বছর দেশটি শাসন করা একনায়ক জাইন আল আবেদীন বিন আলী ক্ষমতাচ্যুৎ হন। এর পর থেকেই গত দশ বছর ভঙ্গুর অবস্থা সত্ত্বেও আরব বিশ্বের একমাত্র গণতান্ত্রিক শাসন উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে চালু ছিলো।

সূত্র : আলজাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement
বিরল রোগে আক্রান্ত আনহা বাঁচতে চায় ৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার বিশ্বরেকর্ড আইভরি কোস্টের ৪৬ তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন আল্লাহ তায়ালা আমাদের নির্ধারণ করে পাঠিয়েছেন : ইসি সানাউল্লাহ নিষেধাজ্ঞার সময় ভারতীয় জেলেরা অনুপ্রবেশ করে মাছ ধরছে : উপদেষ্টা ট্রান্সকম সিইও সিমিনসহ ৬ কর্মকর্তার জামিন বাতিল, শুনানি আগামী ১৬ জানুয়ারি ঝালকাঠিতে নারীর লাশ উদ্ধার ঋণ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সারা দেশ থেকে শাহবাগে লোক জড়ো করার চেষ্টা ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করায় ডিএমপিতে ১,৮৪২ মামলা বন্দরে অহিংস গণঅভ্যুত্থান কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে বাস আটক যাত্রাবাড়ীতে সংঘর্ষে ৩ শিক্ষার্থী নিহতের দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের

সকল