২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আবারো টিগ্রের রাজধানী দখলে নেয়ার দাবি টিপিএলএফের

টিগ্রের রাজধানীতে ব্যাংকে ঢোকার লম্বা লাইন। - ছবি : এএফপি

গত আট মাস ধরে টিগ্রেতে প্রবল লড়াই চলছে। ইথিওপিয়ার সেনা রাজধানীসহ অন্য এলাকার দখল নেয়ার পরেও টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ) লড়াই চালিয়ে গেছে। টিপিএলএফের দবি, তারা আবার রাজধানীতে ঢুকে পড়েছে ও রাজধানীর দখল নিয়েছে।

মেকেলের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, টিপিএলএফ বাহিনী আবার রাজধানীতে ঢুকে পড়েছে। ইথিওপিয়া সরকার যে প্রশাসক ও অন্য কর্মকর্তাদের নিয়োগ করেছিল, তারা অনেকেই শহর ছেড়ে পালিয়েছে। টিপিএলএফের মুখপাত্র সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ‘রাজধানী শহর এখন আমাদের দখলে।’

টিগ্রের এই বিদ্রোহীরা নিজেদের টিগ্রে ডিফেন্স ফোর্সের (টিডিএফ) সদস্য বলেন। তাদের এক কর্মকর্তা সংবাদসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, তারা শহরে ঢোকার পর সাধারণ মানুষ উচ্ছ্বসিত। তারা রাস্তায় নেচে বাহিনীকে অভিবাদন জানিয়েছেন।

অ্যামেরিকা, যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ড চায় জতিসঙ্ঘের নিরাপত্ত পরিষদ টিগ্রে নিয়ে আলোচনা করুক। তবে সেই আলোচনার কোনো তারিখ ঠিক হয়নি। গত ১৫ জুন নিরাপত্তা পরিষদ টিগ্রে নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করছিল। কিন্তু চীনের আপত্তিতে কোনো যৌথ ঘোষণা করা যায়নি।

যুদ্ধবিরতির ঘোষণা
ইথিওপিয়া সরকার টিগ্রেতে একতরফা যুদ্ধবিরতির কথা ঘোষণা করেছে। অন্তর্বর্তী সরকার এই যুদ্ধবিরতির কথা জানিয়েছে। সেই ঘোষণা কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ, অন্তর্বর্তী সরকারের অনেকেই শহর ছেড়ে পলিয়েছেন। ইথিওপিয়া সরকার জানিয়েছে, এই যুদ্ধবিরতির ফলে কৃষকরা চাষ করতে পারবেন। টিগ্রেতে যারা শান্তি চান, তারাও একটা সুযোগ পাবেন।

সরকার জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতি চলবে। তবে টিপিএলএফ বা টিডিএফ যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement