ইথিওপিয়ায় খাবার পাচ্ছে না ২৩ লাখ শিশু
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৬ ডিসেম্বর ২০২০, ১১:৩৪
ইথিওপিয়ার টিগ্রেতে চলছে তীব্র লড়াই। ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে টিগ্রের পরিস্থিতি। ঢুকতে দেয়া হচ্ছে মানবাধিকার অধিকাররক্ষাকারী সংস্থাগুলোকে। অসহায় অবস্থা লাখ লাখ শিশুর। জাতিসঙ্ঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, প্রায় দুই দশমিক তিন মিলিয়ন শিশু সেখানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সামান্য খাবার ও ওষুধ পর্যন্ত তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া যাচ্ছে না।
নভেম্বরের গোড়া থেকে ইথিওপিয়ার সরকারের সাথে তীব্র লড়াই চলছে টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ)। দীর্ঘ দিন টিপিএলএফ স্বতন্ত্র সরকার চালিয়েছে টিগ্রেতে। নভেম্বরে ইথিওপিয়ার নোবেলজয়ী প্রধানমন্ত্রী টিগ্রে দখলের জন্য সেনা পাঠান। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে তীব্র যুদ্ধ।
আন্তর্জাতিক অধিকাররক্ষাকারী সংস্থাগুলোর বক্তব্য, ইথিওপিয়া সরকার যুদ্ধের কোনো নিয়ম মানছে না। সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেয়ার কোনো সুযোগই দেয়া হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত কোনো সংস্থাকে টিগ্রেতে ঢুকতে দেয়া হয়নি। নেই সাধারণ মানুষকে সাহায্য করার কোনো সুযোগ। শুধু তাই নয় টিগ্রের ইন্টারনেট, ফোন লাইন কেটে দেয়া হয়েছে। ভিতরে কী ঘটছে পাওয়া যাচ্ছে না তার কোনো খবর।
জাতিসঙ্ঘের ধারণা, যুদ্ধে হাজারখানেক সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে ইথিওপিয়া সরকার জানিয়েছে, যুদ্ধ শেষ। কিন্তু টিপিএলএফের দাবি এখনো তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে টিগ্রের প্রায় ২৩ লাখ শিশু অসহায় অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ। তাদের কাছে খাবার ও ওষুধ কিছুই পৌঁছচ্ছে না। টিপিএলএফ ও ইথিওপিয়া সরকার ওই খাবার নিয়ে যেতে দিচ্ছে না। ইউনিসেফ জানিয়েছে, আরো কিছু দিন এমন চলতে থাকলে শিশুদের মৃত্যুও হতে পারে।
এ দিকে কয়েক লাখ মানুষ টিগ্রে ছেড়ে পালিয়েছে সুদানে। এখনো অনেক মানুষ টিগ্রেতে থেকে গিয়েছে। টিগ্রেতে রয়েছে শরণার্থী শিবিরও। যুদ্ধের পর শরণার্থীদের কী অবস্থা তা নিয়েও যথেষ্ট চিন্তিত জাতিসঙ্ঘ।
সূত্র : ডয়েচে ভেলে
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা