২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

পুলিশের যেসব কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ নাইজেরিয়ার তরুণরা

- ছবি : সংগৃহীত

নাইজেরিয়ার রাজধানী লাগোসে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠি চালিয়েছে পুলিশ। কী কারণে এমন পরিস্থিতি?

দুই সপ্তাহ আগে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে নাইজেরিয়ার এসএআরএস (সার্স) বা স্পেশাল অ্যান্টি-রবারি স্কোয়াডের সদস্যদের এক ব্যক্তিকে খুন করতে দেখা যায়। এরপর থেকে উত্তাল নাইজেরিয়া, বিক্ষোভের কেন্দ্রে রাজধানী লাগোস।

তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সাহায্যে সার্সের বেআইনি ভূমিকার বিরুদ্ধে সংগঠিত হয়েছে প্রতিবাদ। রাজধানীর পাশাপাশি প্রতিবাদ হচ্ছে দেশের অন্যান্য শহরেও।

বেশ কয়েক বছর ধরেই আইনবহির্ভূত কীর্তিকলাপের পাশাপাশি বহু অপরাধের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে চুরি, গুম ও খুন রোখার দায়িত্বপ্রাপ্ত এই বিশেষ স্কোয়াডের বিরুদ্ধে। ২০১৬ সালে পুলিশের পক্ষে জানানো হয় যে সার্সের এই বিচ্যুতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কিন্তু বিক্ষোভকারীদের মত, এমনটা হয়নি। এবারের প্রতিবাদকে আরো শক্তিশালী করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহৃত হচ্ছে একটি বিশেষ হ্যাশট্যাগ ‘এন্ডসার্স’, যা এরমধ্যে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

বিক্ষোভের পক্ষে-বিপক্ষে
নাইজেরিয়ার সশস্ত্র গোষ্ঠী বোকো হারামের নিয়ন্ত্রণাধীন পূর্বাঞ্চলের বাসিন্দারা এই প্রতিবাদের ফলাফল সম্পর্কে সন্দিহান। তাদের মত, সার্স নিষ্ক্রিয় হলে এই অঞ্চলে আরো অনিরাপত্তায় ভুগবেন তারা, বাড়বে বোকো হারামের কড়াকড়ি।

এই বোকো হারামের সূত্রপাত যেখানে, সেই মাইডুগুরি শহরের বাসিন্দারা সার্সের পক্ষে পথে নামার আবেদন রাখলে কর্তৃপক্ষ তা নাকচ করে দেয়। প্রতিবাদের মধ্যেই সরকার ইতোমধ্যে সার্সকে নিষ্ক্রিয় করে সেই জায়গায় ‘সোয়াট’ (স্পেশাল ওয়েপনস অ্যান্ড ট্যাক্টিক্স টিম) নামের আরেকটি বিশেষ দল গঠন করেছে।

চলমান বিক্ষোভ
পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ আদামু কথা দিয়েছেন যে সোয়াট-কর্মীরা যাতে ক্ষমতার অপব্যবহার না করে সেজন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কিন্তু তাতেও সন্তুষ্ট হচ্ছেন না প্রতিবাদকারীরা। তাদের বিশ্বাস, এতে কিছুই বদলাবে না।

পুলিশ বর্বরতার শিকার ব্যক্তিদের বিচারের দাবি, স্বজনদের ক্ষতিপূরণ এবং সরকারসহ সর্বস্তরে ক্ষমতার অপব্যবহার রোধের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মোট ৫৬ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে।

প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারীদের একজন জানান, তাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত এবং লাগোসে যারা সহিংসতা চালিয়েছে, তাদের বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরো জানান, প্রতিবাদকারীদের ওপর কর্তৃপক্ষ ক্রমাগত নজরদারি চালাচ্ছে।

ইতোমধ্যে, জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন পুলিশের বর্বরতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাও এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।

সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement