২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

চলতি বছর ৪৫ হাজার অভিবাসী ইউরোপে ঢুকেছে : জাতিসঙ্ঘ

যেভাবে ইউরোপে প্রবেশ করছে অভিবাসীরা - ছবি : সংগৃহীত

লিবিয়ার কাছে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে একটি নৌকা থেকে উদ্ধার করার পর শরণার্থীরা স্প্যানিশ এনজিও প্রাক্টিভা ওপেন আর্মসের উদ্ধারকারী জাহাজ গল্ফো আজজুরোতে ওঠার জন্য অপেক্ষা করছেন : ফাইল ছবি -
জাতিসঙ্ঘের অভিবাসন সংস্থা গত শুক্রবার জানিয়েছে, ২০১৯ সালের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৪৫ হাজারেরও বেশি অবৈধ অভিবাসী এবং শরণার্থী সমুদ্রপথে ইউরোপে গেছে। 
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, তাদের মধ্যে ৮৫৯ জন সমুদ্রে ডুবে মারা গেছেন। গত বছরের একই সময়ে প্রায় ৬৪ হাজার ৮৩৬ জন শরণার্থী এবং অভিবাসী ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছিল, যার মধ্যে এক হাজার ৫৫৮ জন সমুদ্রে ডুবে মারা যান। এ বছর ২৩ হাজার ১৯৩ জন অবৈধ অভিবাসী এবং শরণার্থী গ্রিসে এসেছেন, যা ইউরোপে মোট আগতদের অর্ধেকেরও বেশি। 

২০১৯ সালে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় পথে ইউরোপে ঢোকার সময় ৫৭ জন মারা গেছেন। অন্য দিকে পশ্চিম পথে স্পেন ১৪ হাজার ৬৮০ জন অবৈধ অভিবাসী এবং শরণার্থী প্রবেশ করেছে। চলতি বছর পশ্চিম ভূমধ্যসাগরীয় পথে ইউরোপে প্রবেশের সময় ২০৮ জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়। ২০১৮ সালে এ পথে মারা গিয়েছিলেন ৩২৪ জন। 
আইওএমের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৯ সালে এ পর্যন্ত প্রায় চার হাজার ৬৬৪ জন অভিবাসী ইতালি প্রবেশ করেছে। ২০১৮ সালে একই সময়ের মধ্যে প্রায় ১৯ হাজার ৪৯২ জন অভিবাসী ইতালিতে প্রবেশ করেছিলেন। 

ইউরোপে অভিবাসীদের আগমনের হার ইতালি ও অন্যান্য দেশের তুলনায় গ্রিস ও স্পেনে অনেক বেশি। আইওএমের প্রতিবেদন অনুসারে ইউরোপে আগত মোট অভিবাসীর ৮৩ শতাংশই গ্রিস ও স্পেনে প্রবেশ করেছে। 

মধ্য ভূমধ্যসাগরীয় পথে অভিবাসী মৃত্যুর পরিমাণ ২০১৯ সালে হ্রাস পেয়েছে। গত বছরের একই সময়ে ১,১২৮ জন অভিবাসী মধ্য ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যান, যেখানে চলতি বছর মারা গেছেন ৫৯৪ জন। জানুয়ারিতে প্রকাশিত আইওএমের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মধ্যবর্তী সময়ে প্রাণঘাতী ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে পাড়ি দিতে গিয়ে মোট ৩০ হাজার ৫১০ জন অভিবাসী ডুবে মারা গেছেন। সূত্র : আনাদোলু।


আরো সংবাদ



premium cement