সুদানে সিসির হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে খার্তুমে শত শত মানুষের বিক্ষোভ
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২৯ এপ্রিল ২০১৯, ০৫:৪২
সুদানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ‘হস্তক্ষেপ’ করার প্রতিবাদে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল সিসির বিরুদ্ধে গতকাল রোববার সুদানের রাজধানী খার্তুমে বিক্ষোভ করেছে শত শত মানুষ। এ সময় বিক্ষোভকারীরা সিসির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সেøাগান দেয়। খার্তুম রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ওমদুরমান থেকে আসা বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে খার্তুমে মিসরের দূতাবাসের দিকে অগ্রসর হয়। তারা সুদানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সিসির হস্তক্ষেপের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে সেøাগান দেয়।
বিক্ষোভকারীদের উল্লেখযোগ্য সেøাগান ছিল, ‘এটি সুদান’, ‘আপনার সীমান্ত (মিসরের উজানের) আসওয়ান শহরে এসে শেষ হয়েছে’। বিক্ষোভকারীরা সুদানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যেকোনো বিদেশী হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে। পরে সেনাবাহিনী সদর দফতরে এসে বিক্ষোভকারীদের মিছিল শেষ হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার সিসির ‘হস্তক্ষেপের’ নিন্দা জানিয়ে একই ধরনের বিক্ষোভ হয়। গত ১১ এপ্রিল ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘোষণা দেয় দেশটির সেনাবাহিনী। পরে মিলিনটারি ট্রানজিশনাল কাউন্সিল-এমটিসি গঠন করে দুই বছরের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে বেসামরিক কর্তৃপক্ষের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়ার অঙ্গীকার করে সেনাবাহিনী। তবে বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে একটি বেসামরিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।
মঙ্গলবার কায়রো আফ্রিকান ইউনিয়নের (এইউ) একটি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে। যেখানে অংশগ্রহণকারীরা তিন মাসের মধ্যে বেসামরিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য এমটিসিকে আহ্বান জানিয়েছে। সুদানের বিক্ষোভকারীরা এইউর এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
যৌথ কাউন্সিল প্রশ্নে মতৈক্য
সুদানের ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিল ও বিক্ষোভকারীদের জোট পরবর্তী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দেশ পরিচালনায় একটি যৌথ কাউন্সিল গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। শনিবার ক্ষমতাসীন মিলিটারি ট্রানজিশনাল কাউন্সিল (টিএমসি) ও বিক্ষোভরতদের জোট ডিক্লারেশন অব ফ্রিডম অ্যান্ড চেঞ্জেস ফোর্সের মধ্যে এক বৈঠকে এ মতৈক্য হয়েছে। সামরিক কাউন্সিলের মুখপাত্র শামস আলদীন কাবাসি আলজাজিরাকে জানিয়েছেন, বিপুল স্বচ্ছতা ও উচ্চাকাক্সক্ষা নিয়ে আলোচনা শুরু হয় আর আমরা দেশের জন্য যৌথ সম্মতিতে পৌঁছেছি। খুব তাড়াতাড়ি এই বৈঠকের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা হতে পারে বলে জানান তিনি।
সূত্র : আনাদোলু