সরে যেতে হলো সুদানের অভ্যুত্থানের নেতাকেও
- ১৩ এপ্রিল ২০১৯, ০৬:০১
সুদানের ৩০ বছরের শাসক ওমর আল-বশিরকে সরিয়ে দেয়ার পর যিনি সামরিক কাউন্সিলের প্রধান হয়েছিলেন, ক্ষমতা গ্রহণের এক দিন পরে তাকেও পদত্যাগ করতে হয়েছে।
শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে একটি ঘোষণায় পদত্যাগ করার এই তথ্য জানান সামরিক কাউন্সিলের প্রধান ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী আওয়াদ ইবন আউফ।
সামরিক বাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আবদেল রাহমান বুরহানকে তার উত্তরসূরি ঘোষণা করা হয়েছে।
সামরিক কাউন্সিলের প্রধান মি. বশিরের ঘনিষ্ঠ দাবি করে, বিক্ষোভকারীরা রাস্তা ছাড়তে অস্বীকৃতি জানানোর পর এই পরিবর্তন এলো।
সেনাবাহিনী দাবি করছে, তারা ক্ষমতায় থাকতে চায় না এবং সুদানের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে আন্দোলনকারীদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী।
দারফুর সংঘাতের সময় ইবন আউফ ছিলেন সুদানের সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান। ওই যুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য বশিরকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
তেল ও জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া কয়েকমাসের বিক্ষোভের জের ধরে ওমর আল-বশিরকে সরে যেতে হয়েছে।
আন্দোলন চলার সময় অন্তত ৩৮ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে।
মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে জেনারেল আওয়াদকে নিজের ডেপুটি হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই আওয়াদই রাষ্ট্রীয় টিভিতে বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘোষণা দেন। বিষয়টিকে পদত্যাগ বলা হলেও, মূলত তাকে অনেকটা বাধ্য হয়েই ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে। বশির সরকারের প্রতিরক্ষমন্ত্রী ছিলেন আওয়াদ। সুদান সামরিক বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় ও প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের একজন তিনি। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ ও সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন। ২০০৩ সালে দারফুর সঙ্ঘাতের সময় গোয়েন্দা প্রধানের পদে ছিলেন তিনি।
দারফুরে সহিংসতার দায়ে ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র যে তিন সুদানি সামরিক কর্মকর্তার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছিল তার একজন ৬৫ বছর বয়সী আওয়াদ।
সূত্র : বিবিসি