২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মালিতে অস্ত্রধারীদের হামলায় ১৩৪ গ্রামবাসী নিহত

মালি
মালিতে অস্ত্রধারীদের হামলায় ১৩৪ গ্রামবাসী নিহত - ছবি: সংগৃহীত

মালির মধ্যাঞ্চলে ফুলানি সম্পদায়ের একটি গ্রামে শনিবার অস্ত্রধারীদের হামলায় ১৩৪ জনের গ্রামবাসী নিহত হয়েছে। স্থানীয় একজন মেয়র এ কথা জানিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে এটিই এ ধরনের সবচেয়ে বড় ঘটনা। 

দেশটিতে জাতিসঙ্ঘের প্রতিনিধিদলের সফরের সময়েই এ হামলার ঘটনাটি ঘটল।

পার্শ্ববর্তী শহর বাঙ্কাশের মেয়র মৌলায়ে গুইন্ডু জানিয়েছেন, ঐতিহ্যবাহী ডংজো শিকারীদের মতো পোশাক পরে ভোর ৪টার দিকে ওগোসাগোউ গ্রামে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা।

পার্শ্ববর্তী ওউয়েঙ্কোরোর মেয়র চেইক হারুনা সাঙ্কারে বলেন, এসব লোক ফুলানিদের গ্রামে বেসামরিক মানুষের ওপর ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে।

নিরাপত্তা সূত্র জানায়, হামলাকারীরা গুলি করে ও কুপিয়ে গ্রামবাসীদের হত্যা করে।

খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় মালির সেনাবাহিনী বিকেলে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।

জীবিতরা এই ঘটনার জন্য ডোংজো শিকারীদের দায়ী করেছে।

বুরকিনা ফাসোর সীমান্তবর্তী এ অঞ্চলটিতে প্রায়ই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-সহিসংতা দেখা দেয়।

দুই প্রত্যক্ষদর্শী পৃথকভাবে জানায়, গ্রামের প্রায় সব বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।

সাহেল অঞ্চলে উগ্রবাদীদের ঝুঁকির প্রেক্ষিতে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধি দল যখন দেশটিতে, ঠিক সেই সময়ে এ ঘটনা ঘটল।

মালিতে জাতিসঙ্ঘের মিশন এমআইএনইউএসএমএ টুইট বার্তায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এই হামলার নিন্দা জানিয়ে মালি সরকারের প্রতি ঘটনাটি তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।

আরো পড়ুন :
মালিতে রাখালদের হামলায় নিহত ৩৭
এএফপি, ০৩ জানুয়ারি ২০১৯
মালির মধ্যাঞ্চলে মঙ্গলবার ফুলানি সম্প্রদায়ের একটি গ্রামে সশস্ত্র লোকদের হামলায় ৩৭ জন নিহত হয়েছে। রাখালরা গ্রামটিতে হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটিতে প্রতিদ্বন্দ্বী সম্প্রদায়ের মধ্যে এটি সর্বশেষ সংঘর্ষের ঘটনা। সরকার এ কথা জানায়।

সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়, সশস্ত্র ব্যক্তিরা দোজো জাতির শিকারিদের মতো পোশাক পরে মোপতি অঞ্চলের বাঙ্কাসের কাছের কোউলোগোন গ্রামে এ হামলা চালায়। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘এই হামলায় ৩৭ জন নিহত হয়েছে। এদের সবাই বেসামরিক লোক। এছাড়া এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। হামলাকারীরা অনেক বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে।’

ফুলানি সম্প্রদায়ের আলায়ে ইয়াত্তারা বলেন, ‘আমাদের গ্রামের প্রধান মুসা দিয়াল্লো এ হামলায় নিহত হয়েছেন। এ ছাড়াও এতে তার পরিবারের এক বৃদ্ধা ও এক বালিকা নিহত হয়েছে।’

ফুলানীরা ডোগোনদের জমিতে তাদের পশু চরাতে যাওয়ায় উভয়পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। পানি ও জমি নিয়েই এ বিরোধের সৃষ্টি হয়।


আরো সংবাদ



premium cement