মিশরে রহস্যময় নতুন সমাধিক্ষেত্রের সন্ধান, একসঙ্গে এত মমি!
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৩:০৬
মিশরে আবার নতুন রহস্য। খোঁজ পাওয়া গেল এক প্রাচীন সমাধিক্ষেত্রের। মিশরের রাজধানী কায়রো নগরীর দক্ষিণে মিনিয়া নামক স্থানে সন্ধান পাওযা গিয়েছে এই সমাধিক্ষেত্রের।
প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে, এই সমাধিক্ষেত্রটি টলেমি শাসনকালের (৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ ও পরবর্তী)।
সমাধিক্ষেত্রের ভিতরে চারটি ৯ মিটার গভীর প্রকোষ্ঠ পাওয়া গিয়েছে। এই কুঠুরিগুলির ভেতরেই মমিগুলি রয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, মমিগুলির মধ্যে ১২টিই শিশুর।
মিশরের সুপ্রিম কাউন্সিল অফ অ্যান্টিকুইটিজ-এর সেক্রেটারি-জেনারেল মোস্তাফা ওয়াজিরি জানিয়েছেন, মমিগুলি রহস্যময়। কারণ, এগুলি ঠিক কাদের, তা জানা যাচ্ছে না। কোনও লিপি এই সমধিক্ষেত্রে পাওয়া যায়নি। তবে সমাধির ধরণ দেখে মনে হচ্ছে, এগুলি সাধারণ মানুষের কবর নয়।
বেশ কিছু মমি কাপড়ে মোড়া, আবার কিছু মমি পাথরের কফিনে বন্দি। কয়েকটি কাঠের শবাধারও পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে মিশরের প্রত্নমন্ত্রক।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল জুড়ে মিশরে একের পরে এক প্রত্নক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়েছে। ২০১৯-এ এটাই প্রথম আবিষ্কার।
এর আগের ২০১৮ সালের শেষের দিকে মিশরের লুক্সর শহরে উদ্ধার হল তিন হাজার বছরেরও বেশি সময় আগেকার এক মহিলার মমি। মমিটি পাথরের কফিন বা সারকোফ্যাগাসের মধ্যে ছিল। এ মাসে এই নিয়ে দু’টি সারকোফ্যাগাস উদ্ধার হলো।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, মিশরের রাজা ও রাণীদের কবরক্ষেত্র থেকে ওই কফিন দু’টি উদ্ধার করা হয়েছে। দু’টি কফিন এক সময়ের নয়। একটি মোটামুটি দেড় হাজার খ্রিস্টপূর্বাব্দের। অন্যটি তেরশ’ খ্রিস্ট পূর্বাব্দের। দু’টি কফিনেই মমি রয়েছে বলে জানিয়েছেন মিশরের মিনিস্ট্রি অফ অ্যান্টিকুইটি-র তরফ থেকে খালেদ আল আনানি।
এ ছাড়াও কফিন থেকে এক হাজার মূর্তি পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধার হওয়া মহিলার মমিটির নাম সম্ভবত থুয়া, তাও জানাচ্ছেন গবেষকরা। তবে ওই নামই ছিল কি না, তা জানতে কফিনের গায়ে লেখা লিপি আরও ভাল করে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।