মুগাবের ডলার ভর্তি ব্রিফকেস কোথায়?
- বিবিসি
- ২৭ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:৫৩
জিম্বাবুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে তার দীর্ঘ শাসক জীবনে বারংবার আলোচনায় এসেছেন নানা কারণে। এবার নতুন খবর হয়েছে তার ডলার ভর্তি ব্রিফকেস।
ক্ষমতায় থাকার সময় বিলাসবহুল জীবন যাপনের জন্য তীব্র সমালোচনা শুনতে হয়েছে জিম্বাবুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবেকে। এমনকি দেশটি যখন চরম অর্থনৈতিক দুরবস্থার মুখোমুখি হয় তখনো তার জীবনযাপনের ধরণ নিয়ে ক্ষোভ ছিলো দেশটির বহু মানুষের মধ্যে।
এখন আর তিনি ক্ষমতায় নেই কিন্তু তাই বলে তাকে নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। ফলে বারবার আলোচনায় আসছেন তিনি। এবার আলোচনায় এসেছে ব্রিফকেস ভর্তি ডলারের খবর সঙ্গে নিয়ে।
জিম্বাবুয়ের রাষ্ট্রায়ত্ত হেরাল্ড নিউজ পেপারের খবর হলো মুগাবের ব্রিফকেস থেকে চুরি হয়েছে প্রায় দশ লাখ ডলার। জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবেকে এখন গৃহবন্দী করে রেখেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
চলতি মাসেই দেড় লাখ ডলার চুরির অভিযোগে আদালতে এসেছেন তিন ব্যক্তি। কিন্তু আদালতে যে তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে মুগাবে বলছেন হারানো অর্থের পরিমাণ আরও অনেক বেশি।
৯৪ বছর বয়সী মুগাবেকে ২০১৭ সালে অনেকটা জোর করেই ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছিলো দেশটির সেনাবাহিনী। এর আগে ৩৭ বছর দেশ শাসন করেছেন তিনি, প্রথমে প্রধানমন্ত্রী ও পরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে।
তবে মুগাবের লাখ লাখ ডলার হারানোর খবর এমন সময় এলো যখন দেশটির অর্থনৈতিক সংকটের কারণে খাদ্যের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। এ নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্ট এমারসন এমনানগাগওয়া তার ইউরোপ সফর বাতিল করেছেন।
মুগাবের ডলার গেলো কোথায়?
হেরাল্ডে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী আদালতে দেয়া তথ্য উপাত্ত থেকে জানা যাচ্ছে যে ২০১৬ সালে এসব ডলার নিজের গ্রামের বাড়িতে নিয়েছিলেন তখনকার প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে।
সেখানে তিনি সুটকেস ভর্তি ডলার তার এক আত্মীয়কে দিয়েছিলেন যিনি তার বাড়ি দেখাশোনা করতেন। আরেকজন সন্দেহভাজন হলো তার বাড়ির ক্লিনার। আর পুরো অর্থ চুরি হয়েছে গত পহেলা ডিসেম্বর থেকে এ বছর জানুয়ারির শুরুর সময়ের মধ্যে।
তার আত্মীয়কে তিনি জিজ্ঞেস করেও এ বিষয়ে কোনো সদুত্তর পাননি, বরং তিনি জানিয়েছেন তিনি কিছুই জানেননা। পরে মুগাবে আরেকজন কর্মীকে বিষয়টি দেখতে বলেন।
এরপর যখন ব্রিফকেসটি পাওয়া গেলো তখন হেরাল্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী মাত্র ৭৮ হাজার ডলার ছিলো। তবে আদালতে দু’ ব্যক্তির নাম বলা হয়েছে চুরিকৃত অর্থ তারা গাড়ি, বাড়ি ও পশু ক্রয়ে ব্যয় করেছেন।
ক্ষমতা হারানোর পর থেকে মুগাবে তেমন হাঁটাচলা করতে পারেননা। চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরেও গিয়েছিলেন তিনি।
তবে এটা পরিষ্কার নয় যে ব্রিফকেস থেকে ডলার চুরির সময় তিনি ওই বাড়িতেই ছিলেন কিনা।