৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১, ২৯ রজব ১৪৪৬
`

কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের সাথে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ, নিহত ১৭

কঙ্গোতে বিদ্রোহীদের সাথে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ, নিহত ১৭ - ছবি : সংগৃহীত

গণপ্রজাতান্ত্রিক কঙ্গোর (ডিআর কঙ্গো) অবরুদ্ধ নগরী গোমায় কঙ্গোর সেনাবাহিনীর সাথে রুয়ান্ডা সেনা-সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩ বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৭ জন নিহত এবং প্রায় ৩৭০ জন আহত হয়েছে।

সোমবার হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে গোমা থেকে এএফপি জানায়, কঙ্গোর সেনাবাহিনী ও রুয়ান্ডা সেনাবাহিনীর সমর্থিত এম২৩ বাহিনীকে প্রতিরোধ করার জন্য লড়াই করছে।

কঙ্গোর খনিজ সমৃদ্ধ পূর্বাঞ্চলের প্রধান কেন্দ্র-জুড়ে কামান ও হালকা অস্ত্রের গোলা-গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।

রুয়ান্ডার রাজধানী কিগালি জানিয়েছে, রুয়ান্ডা সীমান্তে পাঁচজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

গোমার কতটা অংশ কঙ্গোর নিয়ন্ত্রণে তা নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য রয়েছে। রোববার রাতে এম২৩ সশস্ত্র গোষ্ঠী ও রুয়ান্ডা সৈন্যরা নগরীর কেন্দ্রস্থলে প্রবেশের পরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

গোমার বাসিন্দা লুসি টেলিফোনে বলেন, ‘আমরা আমাদের বিছানায় আছি, কারণ আমরা ভয় পাচ্ছি। আমরা আমাদের বাড়ির বাইরে গুলির শব্দ শুনতে পাচ্ছি, আমরা বের হতে পারছি না।’

বছরের পর বছর ধরে চুপচাপ থাকার পর ২০২১ সালের শেষের দিকে এম২৩ নতুন করে লড়াই চালিয়ে উত্তর কিভু প্রদেশের বিশাল অংশ দখল করতে শুরু করে।

তবে চলতি বছরের শুরু থেকে কঙ্গোর সেনাবাহিনীর সাথে তাদের লড়াই তীব্রতর হয়েছে, যা ডিআর কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলকে তিন দশক ধরে ব্যস্ত রাখা অভ্যন্তরীণ ও আন্তঃসীমান্ত সহিংসতার সর্বশেষ অধ্যায়।

প্রাদেশিক রাজধানী গোমাকে নিজস্ব নগরী বলে অভিহিত করা ১০ লাখের বেশি মানুষ ছাড়াও, যুদ্ধের ফলে বাস্তুচ্যুত প্রায় একই সংখ্যক মানুষ সেখানে বাস করে।

সোমবার নগরীর হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হওয়া সংঘর্ষে আহত ৩৬৭ জনকে চিকিৎসা করা হচ্ছে। এএফপির প্রাপ্ত সংখ্যায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহতের তালিকায় রয়েছে।

উত্তর কিভু প্রদেশের আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির প্রধান মরিয়াম ফ্যাভিয়ার বলেন, ‘আমাদের শৈল্য চিকিৎসক দলগুলো এখন আহতদের বিশাল স্রোত মোকাবেলায় ২৪ ঘণ্টা কাজ করছে।’

ফ্যাভিয়ার বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের বেশিভাগই বেসামরিক নাগরিক।

জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডির মতে, এই লড়াই মানবিক সঙ্কটকে আরো তীব্র করেছে এবং এর ফলে এই মাসেই পাঁচ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এই সংঘাত আঞ্চলিক যুদ্ধের সূত্রপাত করতে পারে বলে জাতিসঙ্ঘ সতর্ক করেছে।

মুখপাত্র প্যাট্রিক মুয়ায়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) বলেছেন, ডিআর কঙ্গো সরকার বলেছে যে তারা গোমায় ‘হত্যাকাণ্ড এবং মানুষের জীবনহানি এড়াতে’ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র : বাসস/এএফপি


আরো সংবাদ



premium cement