০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১, ৯ শাবান ১৪৪৬
`

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে `সাংবাদিকতায় মেধাস্বত্ত্বের চর্চা' শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

-

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সিবে-নিমক প্রকল্পের আওতায় শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় ‘মেধাক্রম ও সাংবাদিকতার মেধাস্বত্তের চর্চা বৌদ্ধিক স্বভাব অধিকার: সিনেমাটোগ্রাফি, সাউন্ড রেকর্ডিং। ডিজিটাল মিডিয়া এবং সাংবাদিকতা অনুশীলন’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কর্মশালায় গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগ এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অংশগহণ করেছেন।

কর্মশালায় মূল বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার অব কপিরাইট বাংলাদেশের সাবেক রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরী। কপিরাইট গবেষক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি তাসলিমা জাহান ও কনসালটেন্ট মোহাম্মদ খাইরুল হাসান মেধাস্বত্বের বিভিন্ন দিক উপস্থাপন করেন।

প্রশিক্ষকরা, মেধাস্বত্ব অধিকার (কপিরাইট) ও উন্নয়নশীল বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নীত হলে কিভাবে মেধাসম্পদ উন্নয়ন ও জনকল্যাণে কাজে লাগানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করেন। তারা বলেন, মেধাস্বত্ব অধিকার (ইন্টেলেক্টুয়ড প্রোপার্টিভি রিয়াট) বিষয়টি বর্তমান বাণিজ্যিক বিশ্বে কৃষি, শিক্ষা, গবেষণা, বিজ্ঞান প্রযুক্তির বিকাশ, শিল্প-সংস্কৃতির সুরক্ষা, বাণিজ্য ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। তাই কপিরাইট (তথ্য ও প্রযুক্তিগত তথ্য) আইনগত ব্যবহার, লাইসেন্স, আইনগত অধিকার নিয়ে জনসচেতনতা খুবই দরকার।

একদিকে বিদ্যমান ঐতিহ্যগত সংস্কৃতি, তথ্যসুরক্ষা করা যেমন কঠিন হয়ে গেছে, তেমনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্ত (এআই)-এর যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে কপিরাইট, শিল্পীর অধিকার সুরক্ষা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। তাই একটি সুস্থ ও কল্যাণমুখী কপিরাইট আইনব্যবস্থা ও কার্যকরী উদ্যোগ নিতে, আমাদের এখনই সচেষ্ট হতে হবে। গণমাধ্যম কর্মীদের কপিরাইট বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে আরো কার্যকর ভূমিকা নেয়া জরুরি।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক কাউসার আহাম্মদ। প্রধান অতিথি ছিলেন, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. মোহাম্মদ আলতাফ-উল-আলম।

কর্মশালা শেষে সমাপন ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।


আরো সংবাদ



premium cement