আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসনের আহবান বিসিএস কৃষি অ্যাসোসিয়েশন
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৪৭, আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:০৮
আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন করে জনবান্ধব প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছে বিসিএস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিসিএস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে খামারবাড়িস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সামনের সড়কে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা এ আহবান জানান।
আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন করে জনবান্ধব প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে জুলাই-আগস্টের শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য মানববন্ধব কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বিসিএস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কৃষিবিদ ড. সাহিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ডিএই'র মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব মো. রেজাউল ইসলাম (মুকুল), আহবায়ক কমিটির সদস্য ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রশিদ, কৃষিবিদ মো. আরিফ হোসেন, মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, আমিনুর রশিদ মুকুল, গোলাম মোস্তফা শিমুল, বাসিরুল আলমসহ বিসিএস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের এক প্রেস বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তারা জানান, বৈষম্যহীন, মেধাভিত্তিক জনপ্রশাসনের মাধ্যমেই প্রকৃত কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব। তারা জানান, একটি বিশেষ প্রশাসনিক ক্যাডার ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার সরকারকে ২০১৪ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচন, ২০১৮ সালে নৈশ ভোট এবং ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখে। প্রশাসন ক্যাডার ক্ষমতা অপব্যবহার করে রাষ্ট্রকে ভুল পথে পরিচালিত করে। এর ফলে স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন হয়নি এবং কাংঙ্খিত উন্নয়ন হয়নি।
নেতারা বলেন, বাংলাদেশের ২৬ ক্যাডার সার্ভিসের মধ্যে ২৫টি ক্যাডার কর্মকর্তাদের পৃথক রেখে অনৈতিকভাবে পদ বর্হিভূত পদোন্নতিসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন। তাদের কূটকৌশলের কারণে অন্যান্য ক্যাডার সদস্যদের শুধু পদোন্নতি বঞ্চিতই করে নাই বরং সকল সুযোগ সুবিধা প্রদান করা থেকে বিরত রেখেছে। প্রশাসন ক্যাডারের আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে মাঠ পর্যায়ে জনগণ কাংঙ্খিত সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বক্তারা জানান, ১৯৮০ সালের সচিবালয় ক্যাডার বাতিল করে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাগণ উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত পদের অতিরিক্ত সংখ্যক পদোন্নতি নিচ্ছে। প্রশাসন ক্যাডারের নিজস্ব পদ মাঠ পর্যায় সহকারী কমিশনার থেকে বিভাগীয় কমিশনার এবং চেয়ারম্যান, ভূমি আপিল বোর্ডসহ তাদের ক্যাডারে অনুমোদিত পদের বাইরে গিয়ে সচিবালয় কেন্দ্রিক সরকারের সকল পদ দখল করে রেখেছে। বক্তারা মানববন্ধন থেকে তিনটি দাবি উপস্থাপন করেন।
দাবিগুলো হলো- বৈষম্যহীন জনবান্ধব সিভিল সার্ভিস গঠন; উপসচিব পদে সব কোটার অবসান করে মেধার ভিত্তিতে সব ক্যাডার থেকে নিয়োগ এবং কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা।